দু’টি ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দিয়ে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করল সিআইডি ৷ বারাসতের টাকি রোড এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে এই দু’টি ভুয়ো কলসেন্টারে দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে ব্যবসা চলছিল বলে অভিযোগ ৷ জানা গিয়েছে, কলসেন্টার দু’টি থেকে বেকার যুবক-যুবতীদের লোন দেওয়ার নামে প্রতারণা করা হত ৷ এদিন ওই দুই ভুয়ো কলসেন্টার থেকে বেশকিছু কাগজপত্র, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, মোবাইল ও অসংখ্য পেন ড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি ৷ গোপন সূত্রের খবর পেয়ে, শুক্রবার সন্ধেয় সেখানে হানা দেন সিআইডি আধিকারিকারা ৷ কলসেন্টার দু’টিতে তালা বন্ধ করে সিল করে দিয়েছে সিআইডি ৷ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ তবে, প্রতারণা চক্রের মূল অভিযুক্ত পলাতক ৷ সিআইডি সূত্রে খবর, বারাসতে টাকি রোড ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে গজিয়ে ওঠা ওই ভুয়ো কলসেন্টারগুলিতে মূলত যুবতীদের কাজে রাখা হয়েছিল ৷ তাঁদের ব্যবহার করেই এই কলসেন্টারগুলি থেকে প্রতারণা চক্র চলত ৷ আর প্রতারণার জন্য বেছে নেওয়া হত, বেকার যুবক-যুবতীদের ৷ ধৃত ৫ ব্যক্তির নির্দেশে ফোন করে বেকার যুবক-যুবতী এবং অর্থের প্রয়োজন রয়েছে এমন লোকজনকে ঠকানো হত বলে অভিযোগ ৷ জানা গিয়েছে, মূলত কম সুদে বেশি টাকা ঋণ দেওয়ার টোপ দেওয়া হত ৷ বিশেষ সূত্র মারফত খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধেয় সিআইডি-র দু’টি দল কলসেন্টারগুলিতে হানা দেয় ৷ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ মূল অভিযুক্ত এই ৫ জনকে দিয়েই পুরো প্রতারণা চক্র চালাত বলে জানা গিয়েছে ৷ টাকি রোডের ধারে একটি বহুতলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় দু’টি অফিসে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ৷ যার নাম রাখা হয়েছিল ‘পাস এন্টারপ্রাইজ’ ৷ আর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অরবিন্দ পল্লিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে ‘টিস রিটেলস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে ভুয়ো কলসেন্টার খুলেছিল প্রতারকরা ৷ ঝাঁ চকচকে পরিপাটি করে অফিসগুলি সাজানো হয়েছিল ৷ যাতে কারও সন্দেহ না হয় ৷ আর সেই সাজানো গোছানো অফিস দেখেই লোকজন প্রতারণার ফাঁদে পা দিত বলে জানা গিয়েছে ৷