সারা বিশ্বে শিশু দিবস পালনের ইতিহাস অনেকটাই পুরোনো। আমেরিকার চেলসিতে ১৮৫৭ সালে রেভারেন্ড ডাঃ চার্লস লেওনার্ড প্রথম এই দিনটি পালন করেন। এরপর জাতিসংঘ ২০ নভেম্বর বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা শুরু করে। আবার আন্তর্জাতিক শিশু দিবস পালিত হয় ১ জুন। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ২০ নভেম্বর শিশু দিবস পালন করা হত। তারিখটি ঠিক করা হয়েছিল জাতিসংঘের তারিখ অনুযায়ী। তবে নেহেরুর মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে তারিখ পরিবর্তন করে ১৪ তারিখ শিশু দিবস পালিত হয়। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে এই দিনটি শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। নেহেরুর জন্ম ১৮৮৯ সালের ১৪ নভেম্বর। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও বাচ্চাদের প্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯৫৫ সালে তিনি চিলড্রেনস ফিল্ম অফ সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠনটি শুধুমাত্র বাচ্চাদের সিনেমার জন্য গড়ে তোলা। শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তোলার পিছনে নেহুরুর ভূমিকা ছিল প্রধান। তাঁর নানা বক্তৃতায় শিশুশিক্ষার গুরুত্ব বারবার ফুটে উঠেছে। তাঁর মতে, শিশুদের শিক্ষাই ঠিক করে দেয় আগামীদিনে দেশের ভবিষ্যত কেমন হবে। শিশুরাই আগামীকালের ভারত গড়ে তুলবে। নেহুরু শুধু যে একজন দক্ষ প্রশাসক ছিলেন তা নয়, শিক্ষার গুণমান বাড়াতে তিনি বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। শিশু দিবস সরকারি নথি অনুযায়ী ছুটির দিন নয়। এই দিন স্কুলে নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।