গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তদন্তে পুলিশ। চাঞ্চল্য এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসীহাটার মস্তান মোড়ের ঘটনা। মৃত ওই ছাত্রীর নাম স্নেহা সাহা(১৮)। পরিবার সূত্রে খবর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী স্নেহার বান্ধবী ছিল বিহারের আজিমনগরের বাসিন্দা জ্যোতি শা। তুলসিহাটা দাদুর বাড়ি ছিল স্নেহার বান্ধবী জ্যোতি শা। তুলসীহাটা দাদুর বাড়িতে থেকেই পড়াশোনা করত। একই সঙ্গে পড়াশোনা করতো দুই বান্ধবী। বান্ধবী জ্যোতি শা কিছু দিন আগে বিয়ের জন্য তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় বাড়ির অমতে। এই ঘটনায় জ্যোতির বাবা মনোজ শা ক্রমাগত দায়ী করতে থাকে স্নেহাকে। ফোন করে দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম হুমকি। এমনকি ঘরবাড়ি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে আর্থিক ভাবে চাপ দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি সেই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে আত্মঘাতী হয়েছে স্নেহা। ঘটনাস্থলে যায় হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিকেল কলেজে। সমগ্র ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। অভিযুক্ত জ্যোতি শা’র বাবা মনোজ শা’র তীব্র শাস্তির দাবী জানিয়েছে স্নেহার পরিবার। মিন্টু সাহার তিন মেয়ের মধ্যে মেজ মেয়ে ছিল স্নেহা। মধ্যবিত্ত পরিবার হলেও মেয়েদের কোন অভাব থাকতে দেননি কোন দিন। এই ভাবে মেয়ের প্রাণ চলে যাবে ভাবতে পারছে না স্নেহার বাবা।