কলকাতা

‘চিকিৎসা আগে, ভর্তির প্রসেস পরে’, এসএসকেএম-এ সরব মুখ্যমন্ত্রী, দেখা করলেন চিংড়িহাটা দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে

আজ এসএসকেএম হাসপাতালে একাধিক পরিষেবার উদ্বোধন করতে গেছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিংড়িহাটা দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তিনি বলেন, “আজ একটি দুর্ঘটনায় এক মাদকাসক্ত যুবক সাত আটজনকে ধাক্কা। তাঁরা অবশ্য ভালো টেক কেয়ার পাচ্ছেন। আমি দেখতে গিয়েছিলাম। ট্রমা কেয়ারটা কষ্ট করে করেছি। দুপুরে ভর্তি হয়েছে। এখনও ব্যান্ডেজ হয়নি দেখলাম কিছু ক্ষেত্রে।” পরে ট্রমা কেয়ার সেন্টার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্ধতি খারাপ থাকলে, আমাদের সেটা শোধরাতে হবে। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রোগী পরিষেবা নিয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। তবে এদিনও তিনি নিজের উষ্মাপ্রকাশ করেন। রাতেও হাসপাতালে থাকুক সিনিয়র ডাক্তাররা। আজ আবার বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকএম হাসপাতালের এক অনুষ্ঠানে আবারও হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম এর পেডিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগের সংস্কারের পর তার নতুন করে খুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এসএসকেএম-এ পূর্বভারতে প্রথম কোনও স্পোটর্স মেডিসিন বিভাগের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও বাঙুরে বেশকিছু সিটি স্ক্যান মেসিনের উদ্বোধন করা হয়। এর পাশাপাশি, একটি সাততল হোস্টেল ভবন ও দশতলা একটি ক্যান্সার হাব তৈরি করা হচ্ছে এসএসকেএম-এ। এখানে আধুনিক মানের ক্যান্সারের চিকিৎসা হবে। ওই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সরকারি হাসপাতালে যারা চিকিত্সা করেন তার প্রাইভেটে যারা চিকিত্সা করেন তাদের মতো আয় করতে পারেন না। তার পরেও সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার ও নার্সদের বেশি ক্রেডিট দিই কারণ কেউ যখন থাকে না তখন তারা রাত জেগে কাজ করেন। রোগীকে পরিষেবা দেন। সিনিয়র ডাক্তারদের আমি অনুরোধ করব, যদি রোটেশন করে রাতে থাকতে পারেন তাহলে ভালো হয়। ট্রমা কেয়ারে গিয়ে দেখে এলাম, খারাপ লাগল। যদি কাজের পদ্ধতিতে ভুল তাকে তাহলে আমাদের তা ঠিক করতে হবে। একজন রোগী সকালে ভর্তি হয়েছে, এখনও প্রসেস চলছে।  প্রসেস পরে হবে। আগে তো রোগী চিকিত্সা পাবে! সেই জন্যই তো আমাদের হাসপাতাল। অনেকে এমনভাব রক্ত নেয় যে গোটা হাত রক্তাক্ত  করে দেয়। একবার এখানে আমি রক্ত দেওয়ার পর আমার হাতের একাংশ কালো হয়ে গিয়েছিল। তাই ভয়ে এখানে আর রক্ত পরীক্ষা করতে আসি না।  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্রমা কেয়ার হাসপাতালটা অনেক কষ্ট করে করা হয়েছে। আপনারা জানেন, একটা ড্রাগ অ্য়াডিকটেড ছেলে আজ উল্টোপাল্টা গাড়ি চালিয়ে ৭-৮ জনকে আহত করে ছেড়েছে। তাদের ৩ জন এখানে ভর্তি হয়েছে। ওদের দেখতে গিয়েছিলাম। ওদের ভালো কেয়ার নেওয়া হয়েছে। তবে দু-একজনের সঙ্গে আমরা মনে হল, শুধুমাত্র লিউকো প্লাস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। একটা ব্যান্ডেজ পর্যন্ত করা যায়নি। দুপুরেও যদি ভর্তি হয়ে তাকে তাহলে প্রসেস চলছে চলবে! অ্যডমিশন হতেই নাকি সময় লাগে, কিন্তু ট্রমা সেন্টার তা হওয়া উচিত নয়। ধরুন একজন গর্ভবতী মহিলা এল। প্রসেস করতেই যদি ৬ ঘণ্টা লাগে তাহলে তো রোগী মরেই যাবে! এগুলো তো ইমাজেন্সি কেস! পিজিটা হল সেন্টার অব একসেলেন্স।