মহাপীঠ তারাপীঠ খ্যাত অভিনেত্রী নবনীতা দাসকে ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ। বৃহস্পতিবার নবনীতা রক্তপরীক্ষা করিয়ে কল্যাণী হাইওয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী এবং টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কামাল। অভিযোগ, নিমতা থানা এলাকায় তাঁদের গাড়িকে আচমকাই ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে একটি পণ্যবাহী গাড়ি। যাকে ধাওয়া করে থামানোর চেষ্টা করেন জিতুর গাড়ির চালক। ছুটে ওই গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করলে জিতুর চালককে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। আত্মরক্ষার জন্য ড্রাইভার ঘাতক পণ্যবাহী গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে দেন। এমটাই দাবি জিতু-নবনীতার। ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন পুলিশ কর্মী পরশুরাম বরদলুই। ওই আধিকারিক নাকি নবনীতা-জিতুর সঙ্গে সহযোগিতা করেননি। উলটে তাঁদের সঙ্গে রূঢ় ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা নেটিজেনদের জানানোর জন্য ব্যাক টু ব্যাক ফেসবুক লাইভ করেন নবনীতা দাস। থানায় পুলিশের সামনেই তাঁকে ‘রেপ করে দেব… ডেড করে দেব’ বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বাংলার সিরিয়ালের ‘মা তারা’। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, যে পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিনেত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানাল ব্যারাকপুর কমিশনারেট। শুক্রবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটর অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সুবীর রায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, নবনীতা দাসের অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে ঘাতক গাড়ির চালক শিবাশিস দাস এবং তার সহকারী আদিত্য প্রামানিককে গ্রেফতার করেছে নিমতা থানায় পুলিশ। ওই থানায় কর্তব্যরত ASI পরশুরাম বরদলুইয়ের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন নবনীতা দাস। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পরশুরামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রথমে জেনারেল ডায়েরি নেওয়া হলেও, পরে এফআইআর রুজু করে নিমতা থানার পুলিশ।