প্রেমিক ও মা অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু এই পরকীয়ায় পথের কাঁটা চার বছরের শিশু। তাকে সঙ্গে নিতে আপত্তি ছিল মায়ের প্রেমিকের। তাই দু’জনে মিলে খুন করল চার বছরের ওই নিষ্পাপ শিশুকে। নাম মারুফ পিয়াদা। তারপর চুপিসাড়ে দেহ নিয়ে গিয়ে কবরস্থ করার সময় গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যায় মা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়েছে প্রেমিক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলি থানার কুন্দখালি গোদাবর পঞ্চায়েতের পূর্ব আলতেখালি এলাকায়। অভিযোগ, শিশুকে মাটিতে আছাড় মারার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। একথা জানাজানি হতেই খবর যায় কুলতলি থানায়। পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে এবং তার মাকে গ্রেপ্তার করে। মায়ের প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। মৃতের বাবা তোয়েব আলি পিয়াদা কুলতলি থানায় স্ত্রী মাফুজা পিয়াদা ও তার প্রেমিক আবুল হোসেন শেখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আলতেখালির বাসিন্দা তোয়েব আলি যাদবপুরের কাছে সন্তোষপুরে সেলাইয়ের কাজ করেন। বাড়িতে সারাদিন ছেলেকে নিয়ে থাকত মাফুজা পিয়াদা। এর মধ্যেই জালাবেড়িয়ার গাজিরহাটের বাসিন্দা আবুল হোসেন শেখের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে। তোয়েব আলি বলেন, স্ত্রী’র পরকীয়ার কথা জানতে পারার পর তাকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু মাফুজা তা অস্বীকার করেছিল। এদিকে, স্বামীর অনুপস্থিতে মাফুজাদের বাড়িতে প্রায় আসত আবুল। পুলিস সূত্রের দাবি, গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর সে মাফুজার বাড়িতে আসে। ওইদিনই তাদের পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু চার বছরের সন্তান মারুফকে সঙ্গে নিয়ে চায়নি আবুল। তারপর দু’জনে মিলে তাকে নৃশংসভাবে খুন করে। প্রতিবেশী আবু সিদ্দিদি পিয়াদা বলেন, শিশুটিকে মেরে জখম করার পর মাফুজা তাকে নিয়ে স্থানীয় নার্সিংহোমে গিয়েছিল। তবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার আগেই সে মারা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। তারপর দেহটি লুকিয়ে কবর দিতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় মা। মাফুজাকে মারধর করলে ও খুনের কথা স্বীকার করে।