প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মন্তব্যের জেরে প্রথমে এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে উঠতে বাধা। পরে অসম পুলিশ গ্রেফতার করল কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে। রায়পুরে দলীয় অধিবেশনে যোগ দিতে ইন্ডিগোর বিমানে উঠেছিলেন। বিমান থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। বিমানকর্মীর আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেন কংগ্রেস নেতা। দলীয় সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, রায়পুরে কংগ্রেসের প্লেনারি সেশনে যোগ দেওয়ার জন্য ইন্ডিগোর বিমানে ওঠেন পবন খেরা। সঙ্গে ছিলেন সুপ্রিয়া সুলে, কেসি বেণুগোপাল, রণদীপ সুরজেওয়ালা। বিমানে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এই কংগ্রেস নেতাকে নেমে যেতে বলা হয়। সেই নির্দেশ মানতে অস্বীকার করায় একপ্রকার ঘাড়ধাক্কা দিয়ে খেরাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। নেতা নেমে যাওয়ায় তাঁর সঙ্গে থাকা বাকিরাও বিমান থেকে নেমে আসেন। টারম্যাকে শুরু করেন প্রতিবাদ। পবন খেরাকে বিমান থেকে নামানোর পরই বিমানবন্দরে তুমুল ক্ষোভে ফেটে পড়েন কংগ্রেস নেতারা। রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা থেকে শুরু করে, সুপ্রিয়া শ্রীনাতেরা স্লোগান তোলেন ‘বিজেপি হায় হায়’এর। সম্প্রতি, গৌতম আদানি ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদিকে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদি বলে উল্লেখ করার জন্য পবন খেরা সমালোচিত হন। ইন্ডিগো বিমান সংস্থার বয়ান অনুসারে, পবন খেরাকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার জন্য অসম পুলিশের তরফ থেকে নির্দেশ এসেছিল। তারা শুধুমাত্র সেই নির্দেশ কার্যকর করেছে। অন্য একটি সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, অসম পুলিশের তরফ থেকে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি নির্দেশ আসে। সেই নির্দেশে বলা হয় পবন খেরা দিল্লির ইন্ডিগো বিমান ধরে রায়পুর যাবেন। তাকে যেন কোনোভাবেই বিমানে উঠতে না দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ সেই বার্তা পাঠিয়ে দেয় ইন্ডিগোকে। পবন খেরা বিমানে উঠে গিয়েছে, সেই খবর পেয়ে ইন্ডিগো ওই বিমানের পাইলট এবং বিমান কর্মীদের নির্দেশ দেয় নেতাকে নামিয়ে দেওয়ার। অসম পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে পবন খেরার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ফলে সেই এফআইআর অনুযায়ী, তারা দিল্লি পুলিসের কাছে পবন খেরাকে গ্রেফতারির অনুরোধ জানায়। তারপরই অসম পুলিশ পবন খেরাকে গ্রেফতার করে।