বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পাথরপ্রতিমার শ্রীধর নগর এলাকার একটি পুকুরে ঢুকে পড়েছিল ১৫ ফুট দৈর্ঘ্যের কুমির। এলাকার বাসিন্দার গদাধর গুড়িয়ার পুকুরের কাছে একটি ছাগলকে চিবিয়ে থেকে দেখে পাড়ার লোকজন। ওই দৃশ্য দেখে হইচই শুরু হয়ে যায় এলাকায়। বিপদ বুঝে ছাগল-সহ কুমির ঝাঁপ দেয় পুকুরে। তীব্র উত্তেজনার কিছু তখনকার মতো তলিয়ে যায় দলে। এদিকে কুমিরের খবর পেয়েই পুকুরপাড়ে লোকজন জড়ো হতে থাকে। খবর দেওয়া হয় গোবরধনপুর কোস্টাল থানা এলাকায়। খবর যায় বন দফতরেও। পুলিস এসে তখনকারমতো ভিড় কিছুটা সামাল দেয়। সন্ধে নাগাদ চলে আসে বন দফতরের কর্মীরা। অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় রাতে কিছুটা দেরিতে কুমির ধরার চেষ্টা শুরু করে বনদফতর। সারারাত লাইট জ্বালিয়ে পুকুর পাড়ে পাহারা দেয় বনকর্মীরা। বহু চেষ্টার পর মধ্যরাতে ১টা নাগাদ কুমিরটি ধরা পড়ে বন দফতরের জালে। সেটির দৈর্ঘ ১১ ফুট। রাতেই কুমিরটিকে নিয়ে যাওয়া হয় পাথরপ্রতিমা কুমির প্রকল্পে। প্রাথমিক চিকিত্সার পর সেটিকে নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। এভাবে বহুবার সন্দুরবনের জনবসতি এলাকায় কুমির ঢুকে পড়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। আপাতত সেটিকে বন দফতরের ধনচি রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে সেটির শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুন্দরবন গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা।