কলকাতা

পরীক্ষা না দিয়েই কলেজে চাকরি! স্ত্রীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উত্তাল গোটা রাজ্য। বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর থেকেই কার্যত সরব বিরোধীরা। তৃণমূল সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধী নেতারা। এই পরিস্থিতিতে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূলের। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পেয়েছেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী,বুধবার এই অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষ বলেন, “সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে চাকরি করতেন। চিরকুট মারফত এই চাকরি গ্রহণ করেছেন।” এবার এই যাবতীয় অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূলের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি টুইট করা হয়। যেখানে সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ রয়েছে। ২০২১ সালে তিনি ৫৫ হাজার টাকা বেতনে অবসর নিয়েছেন এবং এখনও বেতন পাচ্ছেন, সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ রয়েছে। সঙ্গে একটি নথিও তুলে ধরা হয়েছে যা ১৯৮৭ সালের। এবার এই প্রসঙ্গে পালটা এই বাম নেতা বলেন, “এটা রেকমেন্ডেশন লেটার নয়। আমার স্ত্রীর জয়েনিং লেটার। সে তো চাকরি করতই। আর চাকরির জন্য তো জয়েনিং লেটার প্রয়োজন। বরং ৮৭ সালের জয়েনিং লেটার তৃণমূল অবিক্রিতভাবে পেয়েছে এটাকে স্বচ্ছতা বলে। এখানে বলা হয় তিনি পেনশন পান। সে তো নিয়ম মোতাবেক পাবেনই। চাকরি নিয়ে কী অসংগতি তা বলুন! একেবারে ছেলেমানুষি হয়ে যাচ্ছে।” স্ত্রীর পেনশন পাওয়া প্রসঙ্গে এই বাম নেতা বলেন, “আমি যতটুকু জানি ও ক্লাস থ্রি ক্লারিকাল পদে থাকাকালীন অবসর নিয়েছে। সেক্ষেত্রে নিয়ম মোতাবেক ও তো পেনশন পাবেই। তৃণমূলের নেতারা একটু হোমওয়ার্ক করুন। কোথায় অসংগতি বুঝিনি। ১৯৮৭ সালের জয়েনিং রিপোর্ট যদি পাওয়া যায় তার মানে স্বচ্ছ নিয়োগ হয়েছে।  প্রসঙ্গত, বাম জামানায় ‘চিরকুট চাকরি’ হয়েছে, এমনটাই দাবি করছিল তৃণমূলের একাংশ। এবার সরাসরি সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।