কথিত আছে দশহরার দিনে গঙ্গা স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ৷ সেইমতোই গঙ্গা দশহরা উৎসব উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের গঙ্গাঘাটে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ার মতো ৷ গঙ্গাস্নান করে সুখ-সমৃদ্ধির প্রার্থনা করছেন ভক্তরা। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা দশমী তিথিতে গঙ্গা দশহরা পালন করা হয়। কথিত আছে, ভগীরথ তাঁর পূর্বপুরুষদের আত্মাকে বাঁচাতে এই তিথিতেই গঙ্গাকে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলেন। এই কারণে গঙ্গাকে ‘ভাগীরথী’ বলা হয়। তাই এই দিনে হারকি পৌরির ব্রহ্মকুণ্ডে গঙ্গা স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এখানে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন ‘পুণ্য স্নানের’ জন্য। দশহরা কথার অর্থ হল ‘দশ পাপ হরা’ বা ‘দশটি পাপ হরণ করা’। এদিন গঙ্গায় ডুব দিয়ে মানুষের সমস্ত পাপমুক্তি ঘটে বলে মনে করা হয়। প্রচলিত আছে, দশহরার দিন গঙ্গায় 10 বার ডুব দিয়ে পাপমুক্তি ঘটানো হয়। হারকি পৌরির ব্রহ্মকুণ্ডে ভক্তদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে ৷ দশহরা গঙ্গাস্নান উপলক্ষে সেখানে একটি মেলা বসে ৷ ওই এলাকাকে চারটি সুপার জোনে ভাগ করা হয়েছে ৷ ১৬টি জোন ও ৩৭টি সেক্টরে ভাগ করে কর্মকর্তাদের মোতায়েন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।