বাড়ি থেকে বিয়ের কথা ঠিক হতেই কনেকে জোরজবরদস্তি তুলে নিয়ে গিয়েছিল পাড়ার এক গুন্ডা ৷ যে ওই মেয়েটিকে ভালোবাসে বলে দাবি করত ৷ অন্য কারও সঙ্গে যাতে মেয়েটি বিয়ে না করে সে জন্য তাঁকে হুমকিও দিয়ে রেখেছিল স্বঘোষিত প্রেমিক ৷ অজয় দেবগনের গঙ্গাজল ফিল্মে এমনই দৃশ্য চাক্ষুস করেছেন দর্শকরা ৷ এ বার আর রিল নয় ৷ একেবারে রিয়েল ঘটনা ৷ এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী এ বার রাজস্থান ৷ বিয়ের ঠিক আগেই জয়সলমেরের এক যুবতীকে অপহরণ করে একদল দুষ্কৃতী ৷ তাদেরই মধ্য়ে একজন জোর করে সেই মেয়েটিকে বিয়েও করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ৷ সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ৷ সেখানে দেখা গিয়েছে ওই যুবতীকে দু হাতে কোলে তুলে আগুনের চারপাশে প্রদক্ষিণ করছে এক দুষ্কৃতী ৷ সাংঘাতিক এই ভিডিও নজরে এসেছে দিল্লি মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়ালেরও ৷ তিনি অবিলম্বে ঘটনার তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতের কাছে ৷ স্বাতী মালিওয়াল লিখেছেন এই ভিডিয়োটি জয়সলমেরের বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম । জানা গিয়েছে একটি মেয়েকে জনসমক্ষে অপহরণ করা হয়েছে এবং একটি অনুর্বর মরুভূমিতে আগুন জ্বালিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে । এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর ঘটনা ৷ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলতকে এই টুইটটিতে ট্যাগ করে স্বাতী মালিওয়াল এই ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ৷ ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ওই দুষ্কৃতী যুবতীকে কোলে নিয়ে জ্বলন্ত ঘাসের চারপাশে হাঁটছে আর ওই যুবতী অসহায়ভাবে কেঁদে চলেছেন । হিন্দুধর্মে বর ও কনে একটি আনুষ্ঠানিক আগুনকে সাক্ষী রেখে তার চার পাশ দিয়ে সাত পাক ঘোরেন ও তাঁদের আগামী দিনের জন্য প্রার্থনা ও মানত করে থাকেন ৷ আরও পড়ুন বিবাহিত তবু ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সাজা শিক্ষককে পাশবিক মারধরের ভিডিও ভাইরালঘটনাস্থল থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ওই যুবতীর ১২ জুন বিয়ে হওয়ার কথা ছিল । কিন্তু ১ জুন পুষ্পেন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী জয়সলমেরের মোহনগড় এলাকায় তাঁর বাড়ি থেকে একটি এসইউভিতে তুলে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে । এরপর গ্রামের বাইরে নিয়ে গিয়ে পুষ্পেন্দ্র ওই যুবতীকে কোলে নিয়ে আগুনের চারপাশে সাত পাক ঘোরে ৷ যুবতীর পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া করলেও আটকাতে পারেনি । ওই যুবতী যাতে অন্য কারওকে বিয়ে না করে সে জন্য পুষ্পেন্দ্র তাঁকে হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ ৷যুবতীর পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে যুবতীকে উদ্ধার করে মোহনগড়ে নিয়ে আসে । ধরা হয় অভিযুক্তদেরও ৷ নির্যাতিতার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে এবং তাঁকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে । সোমবার পরিবারের সদস্যরা জয়সলমেরের কালেক্টর টিনা দাবির কাছে এ ব্যাপারে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছেন ৷”