রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে সব আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতে পারেনি বঙ্গ বিজেপি। তাও যে সব আসনে প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছে সেখানে এজেন্ট দেওয়া যাবে কিনা, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয়ে বঙ্গ বিজেপির মুখিয়ারা। আর নিজেদের চরম ব্যর্থতা ঢাকতে নতুন নাটক শুরু করে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার-শুভেন্দু অধিকারী। আবদার ধরেছেন, গ্রাম বাংলার ভোট এক দফায় নয়, বহু দফায় করতে হবে। কিন্তু শুক্রবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের ওই আবদার খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই এক দফাতেই ভোট হবে। দফা বাড়ানোর কোনও প্রশ্ন নেই। এক দফায় ভোট করানোর জন্য ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর ওই চিঠির পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগ বাড়িয়ে জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এত কোম্পানি বাহিনী পাঠাতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। দফা বাড়িয়ে ভোট করানো হোক। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে বঙ্গ বিজেপির মুখিয়ার কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর কণ্ঠে। আর তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কী কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীর সঙ্গে আগাম শলাপরামর্শ করে ওই মন্তব্য করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির মুখিয়া? যার জমানায় কোনও নির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেনি পদ্ম শিবির? সুকান্তদের দফাওয়ারি ভোটের দাবি যাতে মেনে নেওয়া হয় তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরে চাপ তৈরিতে নেমেছে বিজেপি দালাল হিসেবে পরিচিত একটি বাজারি সংবাদমাধ্যম। ওই সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে সুকৌশলে প্রচার শুরু হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট বদলে যাচ্ছে! পঞ্চায়েত ভোট কয়েক দফায় করানো যে সঠিক কাজ হবে তার স্বপক্ষে যুক্তি দাঁড় করাতে বামসেবক হিসেবে পরিচিত রাজ্যের প্রাক্তন কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক ও রাজ্যের প্রাক্তন এক নির্বাচন কমিশনারকে আসরেও নামিয়ে দিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যমের কর্ণধাররা।