ফের প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক ১২ বছরের নাবালিককে গণধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নাবালিকাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশজুড়ে। পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘ডন’ জানিয়েছে, বাবা-মা মারা যাওয়ায় ঠাকুরদা ও ঠাকুরমার সঙ্গেই রাওয়ালপিন্ডির গুলিস্তান কলোনিতে বসবাস করত ধর্ষিতা ১২ বছরের নাবালিকা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কেনাকাটা করতে বাড়ির পাশের এক মুদি দোকানে গিয়েছিল সে। তখনই সলমান নামে এক স্থানীয় যুবক বেশ কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ওই নাবালিকাকে জোর করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে ওই নাবালিকার ওপরে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। কয়েক ঘন্টা বাদে বিপর্যস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের গণধর্ষিতা হওয়ার বিষয়টি জানায় নাবালিকা। রাতেই নাবালিকার ঠাকুরদা মহম্মদ রমজান বিমানবন্দর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। বিমানবন্দর থানার ওসি চৌধুরী খুদাদাড় জানিয়েছেন, নাবালিকার ঠাকুরদার অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৭৬ ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।