কলকাতা

হাইকোর্টে ধাক্কা খেল শুভেন্দু, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহাল গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ

পুলিশের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন তিনি। কিন্তু সেখানেই ধাক্কা খেতে হল তাঁকে। আদালত দাঁড়াল পুলিশের পাশেই। নজরে রাজ্যের বিরোশী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রশাসন কাঁথি থানার তরফে সেই নোটিস পাঠিয়েছিল। সেই নোটিসে বলে দেওয়া হয়েছে, আগামী ৮ জুলাই শনিবার অর্থাৎ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন শুভেন্দু নন্দীগ্রামের যে বুথে তাঁর নাম আছে সেই বুথ ছাড়া আর অন্য কোথাও যেতে পারবেন না। এমনকি সেই বুথে থাকতে পারবেন না শুভেন্দুর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরাও। সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠোকেন শুভেন্দু। এদিন সেই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ ভুল কিছু করেনি। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করানোর জন্য পুলিশ যেটা প্রয়োজন মনে করবে সেটা করতে পারে। গতকাল পুলিশের তরফে যে নোটিস শুভেন্দুকে ধরানো হয়েছিল তাতে এটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হয় যে, শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা কোনও ভাবেই কোনও বুথের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবেন না। এমনকি ওই জওয়ানরা শুভেন্দুর বুথের ভিতর ঢুকতেও পারবেন না। শুভেন্দু প্রথমে সেই নোটিস পেয়ে জানিয়েছিলেন, ‘আমি আইন জানি। ভোটের দিন কতটা যাওয়া যায় আর কতটা যাওয়া যায় না সেটা জানি। আমি নিজের বুথে ভোট দিতে ছাড়া আর কোথাও যাব না। কিন্তু কোথাও যদি মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের পাশে অবশ্যই দাঁড়াবো।’ কিন্তু পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন পুলিশ তাঁকে নোটিস দিয়ে নজরবন্দি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু। কিন্তু এদিন বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা ভুল নয়। এই নয় যে শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেই এই নোটিস ধরানো হয়েছে। রাজ্যের প্রায় সব রাজনীতিবিদকেই এই নোটিস দিয়েছে পুলিশ।