ক্রাইম ভাইরাল

বিজেপি শাসিত মণিপুরে ২ কুকি যুবতীকে নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানোর পরে গণধর্ষণ, ভাইরাল ভিডিও 

 জাতিদাঙ্গার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। আর তার মধ্যেই বুধবার সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জনজাতি গোষ্ঠীর দুই  যুবতীকে প্রকাশ্য রাস্তায় নগ্ন করে ঘোরানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওই দুই তরুণীকে নগ্ন করে ঘোরানোর পরে গণধর্ষণও করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ভাইরাল হতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করেছে। নিন্দায় সরব হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। আর তাতেই চাপে পড়ে বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। অপহরণ, খুন, গণধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠনের মিছিলের পরেই মণিপুর জুড়ে কুকি বনাম মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের দ্বিতীয় দিনে অর্থা‍ৎ ৪ মে থাউবাল জেলায় কুকি জো জনজাতি গোষ্ঠীর তিন মহিলাকে প্রথমে ঘিরে ধরে মেইতেই জনগোষ্ঠীর দুষ্কৃতীরা। তিনজনকেই নগ্ন করে। তবে ৫০ বছর বয়সি মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু দুই যুবতীকে প্রথমে নগ্ন করে এলাকায় ঘোরানো হয়। সেই সঙ্গে চলে যৌন নির্যাতন। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করা হয়। একঝাঁক নরপিশাচের হাত থেকে রেহাই পেতে হাতজোড় করে আকুল আর্তি জানিয়েছিলেন দুই যুবতী। কিন্তু রেহাই দেয়নি নরপিশাচরা। ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করে নরপিশাচরা। বুধবার সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই তোলপাড় পড়ে যায়। নিন্দার ঝড় ওঠে গোটা দেশজুড়ে। সমালোচনার মুখে নড়েচড়ে বসে মণিপুর পুলিশ। রাতে মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, ‘গত ৪ মে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনার জড়িত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই থা্উবাল জেলার নংপোক সেকমাই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।