মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১ অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদেরও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে এবং চরম পদক্ষেপ করা হবে বলে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সেই বার্তার কয়েক ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হল আরও ৩ অভিযুক্ত। এখনও পর্যন্ত মোট ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে টুইট করে জানিয়েছে মণিপুর পুলিশ। অন্যদিকে, ন্যক্করজনক এই ঘটনায় মণিপুরের মুখ্য সচিব ও ডিজিপি-র কাছে রিপোর্ট চেয়ে নোটিশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এনএইচআরসি। তদন্তের অগ্রগতি-সহ নির্যাতিতাদের শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার নাম হুইরাম হেরোদাস মেইতি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ভিত্তিতেই ৩২ বছর বয়সি ওই যুবককে চিহ্নিত করে থৌবাল জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিও-তে ৩২ বছর বয়সি হেরোদাসকে সবুজ রঙের টি-শার্ট পরে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হেরোদাস এই মহিলাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। হেরোদাসকে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টা পর এদিন সন্ধ্যায় ওই ভিডিও-র প্রেক্ষিতে আরও ১ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানান মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আরও ২ জনকে গ্রেফতার করার কথা জানাল মণিপুর পুলিশ। তাদের নাম অবশ্য এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে মণিপুর নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আমি জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, কোনও অপরাধীকে রেহাই দেওয়া হবে না। আইন সর্বশক্তিমান। নিজের পথে আইন চলবে। মণিপুরের মেয়েদের সঙ্গে যা হয়েছে তা কখনও ক্ষমা করা যাবে না।”