টানা ৭৮ দিন অশান্তির পর বেরিয়ে আসা একটি ভিডিয়োতেই তোলপাড় গোটা দেশ। দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানের ভিডিয়ো ক্লিপ সামনে চলে আসে। এরপর আরও চমক। মোবাইলে ফোনে ঘুরতে থাকা ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ঘরের বেড়ায় ঝুলছে মানুষের কাটা মুন্ডু। এবার আরও একটি ঘটনা সামনে এল। এক তরুণীকে গণধর্ষণ করল অস্ত্রধারী ৪ যুবক। এনিয়ে ফের সরব হল তৃণমূল। পূর্ব ইম্ফলে গত ২১ জুলাই একটি এফআইআর হয়েছে। সেখানে এক ১৮ বছরের তরুণী অভিযোগ করেছেন তাকে গণধর্ষণ করেছে কালো পোশাক পরিহিত অস্ত্রধারী ৪ যুবক। কিন্তু তার পরের কথাগুলি আরও মারাত্মক। ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে তাকে অপহরণ করে মহিলাদের একটি দল। তারপর তাকে তুলে দেওয়া হয় অস্ত্রধারী ওই ৪ যুবকের হাতে। তারাই তাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি গত ১৫ মে-র। গত ২১ জুলাই পুলিসের কাছে যান ওই তরুণী। পুলিশ একটি জিরো এফআইআর করে। গুরুতর আহত ওই তরুণী বর্তমানে নাগ্যাল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ভর্তি। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি ট্যুইট করে লেখা হয়েছে মণিপুরের বিভীষিকার অন্ত নেই। ১৮ বছরের এক তরুণীকে ৪ দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দিল মহিলারা। তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পূর্ব ইম্ফল ওই ঘটনা ঘটে ১৫ মে। একমাস পরেও একের পর এক এই ধরনের ঘটনা বেরিয়ে আসছে। এখনও যা প্রকাশ্যে আসেনি তা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। রাজ্যে এই ধরনের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার দায় কখন নেবেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংরা? ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে মহিলাদের যে দলটি তাকে অপহরণ করে তাদের সে জানে। এলাকায় তারা ‘মেইরা পাইবিস’ বা মহিলা মশালবাহক নামে পরিচিত। তারাই কালো কাপড় পরে থাকা ৪ যুবকের হাতে তাকে তুলে দেয়। মণিপুরের কুকি ও মেইতেই জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর একের পর এক এরকম ঘটনা সামনে আসছে। রাজ্যের এই পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা নিয়ে নীরব কেন্দ্র। উল্লেখ্য, গত ৪ মে যে দুই মহিলাকে ধর্ষণ ও নগ্ন করে হাঁটানো হয় তাকেও অপহরণ করে মহিলাদের একটি দল। এমনটাই দাবি সংবাদমাধ্যমের। কাংকপোকপি জেলার একটি গ্রামে সেদিন হামলা চালায় অস্ত্রধারী জনতা। তাদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা। তারা এসে একটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাড়ির এক বয়স্ক মানুষকে খুন করে, এক ১৯ বছরের তরুণকে পিটিয়ে মারে। তারপর তার দুই বোনকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ধর্ষণ করা হয়, নগ্ন করে হাঁটানো হয়। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া মোবাইলে। পুলিশের দাবি হামলাকারীদের হাতে একে ৪৭ এর মতো উন্নত অস্ত্রও ছিল। গ্রামে ঢুকেছিল ৯০০ থেকে ১০০০ লোক।