বুধবার বেলা পর্যন্ত জিইয়ে রাখলেন সাসপেন্স। অবশেষে লোকসভার স্পিকার ঠিক বেলা ১২টায় ঘোষণা করলেন বক্তা রাহুল গান্ধীর নাম। বক্তব্য রাখতে উঠতেই হইচই শুরু হয়ে যায় লোকসভায়। একদিকে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা রাহুল গান্ধীর সপক্ষে ‘জোড়ো জোড়ো ভারত জোড়ো’ স্লোগান দিতে থাকেন। অপরদিকে, BJP সাংসদদের খোঁচা উড়ে আসে। হট্টগোলের মাঝেই বক্তব্য শুরু করেন কংগ্রেসের ওয়েনাদের সাংসদ। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই রসিকতার মেজাজে রাহুল গান্ধী বলেন, “ভয় পাবেন না, জাস্ট রিল্যাক্স। আগেরবার আমি আদানিজিকে নিয়ে বলেছিলাম কিন্তু তা অনেকের পছন্দ হয়নি। কিন্তু, আজ আমি অন্য পথে হাঁটব। আদানিজিকে নিয়ে আজ আর কিছু বলছি না।” বক্তব্যের শুরুতেই নিজের ভারত জোড়ো যাত্রার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “আমি কন্যাকুমারীর সমুদ্রপাড় থেকে কাশ্মীরের বরফে ঢাকা পাহাড় পর্যন্ত যাত্রা করেছি। আমার মধ্যে অনেক অহংকার ছিল। কিন্তু, যাত্রার কিছুদিনের মধ্যেই সেই অহংকার কেটে গিয়েছিল। ভারতের আওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম। মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা জানতে গিয়েছিলাম। এর জন্য আমি মোদীজির জেলেও যেতে রাজি। জানতে চেয়েছিলাম গত ১০ বছরে কেন আমায় এত গালাগাল করা হয়।” রাহুল গান্ধী আরও বলেন, “কিছুদিন আগেই আমি মণিপুর গিয়েছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখনও যাননি। তিনি মনেই করেন না মণিপুর ভারতের অংশ। মণিপুর রাজ্যের নাম উচ্চারণ করছি ঠিকই কিন্তু, আজ সেটি আর একটি রাজ্য নেই। কেটে টুকরো করে ফেলা হয়েছে মণিপুরকে।”