কলকাতা

রাজ্যজুড়ে লোডশেডিং-এ নাজেহাল মানুষ, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

ভাদ্র মাসের প্যাচপ্যাচে গরমে রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কারেন্ট যাওয়া এখন নতুন উৎপাত হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিন নেই, রাত নেই, হুট করে চলে যাচ্ছে কারেন্ট। কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও আবার সারা রাত কারেন্ট থাকছে না। এমনিতেই বর্ষার মরশুমে বেড়েছে ডেঙ্গি, ভাইরাল জ্বরের উৎপাত। তার মধ্যে লোডশেডিং-এর সমস্যা। নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। বহু জায়গায় রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই গ্রাহকদের মেসেজ করে জানানো হচ্ছে, মেইনটেনেন্স-এর জন্যই নির্ধারিত সময় লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে বহু জায়গায় কারেন্ট যাচ্ছে কোনও আগাম নোটিস ছাড়াই। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, কয়লার জেগানে ঘাটতি আসল কারণ। বর্ষার এই সময় কয়লা ভিজে থাকে। ফলে এই সমস্যা বহু পুরনো। তবে এবার বিদ্যুৎ দফতরের এই সমস্যা মোকাবিলায় আগাম কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে সোমবার থেকে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দফতরের সামনে ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার ট্যুইট করে অভিযোগ করেছেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা কিনে পাঠাতে পারছে না রাজ্য সরকার৷ সেই কারণেই বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা৷‘‘ রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটটির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।’ এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘তীব্র গরমের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর।’’ আর এই পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু।