ফের সামনে এল সেফ হোমের কদর্য চেহারা৷ হোমের ভিতরে দিনের পর দিন, টানা ১০ বছর নাবালিকাকে ধর্ষণ৷ ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে হরিদেবপুরের এক নির্যাতিতা নাবালিকা। তারপর জোর করে তার গর্ভপাতও করানো হয়। আবারও সামনে এল শিউরে ওঠার মতো ঘটনা৷ ইতিমধ্যেই হোমের প্রতিষ্ঠাতা তথা সম্পাদক জীবেশ দত্ত এবং হোমের প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ৷ অভিযুক্ত দু’জনের বিরুদ্ধে পকসো-সহ তিনটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে৷ অন্যান্য অভিযুক্তদেরও খোঁজ চলছে৷ আপাতত, সেফ হোমে থাকা বাচ্চাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র৷ জানা গিয়েছে, নারী এবং শিশু সুরক্ষা কমিশনে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জমা পড়েছিল৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই যৌথভাবে অভিযানে নামে স্পেশাল জুভেনাইল পুলিশ ইউনিট ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশন।
প্রসঙ্গত, কলকাতার হরিদেবপুরে এক হোমে ২ নাবালিকাকে ধর্ষণ, আর ১ জনের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে! অভিযোগ দায়ের করা হয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হোমের মালিক, প্রিন্সিপাল ও রাঁধুনিকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, হরিদেবপুরের ওই হোমটি বেসরকারি। হোমে যারা থাকে, তারা সকলেই দৃষ্টিহীন। শুধু তাই নয়, আবাসিকদের জন্য় রয়েছে একটি স্কুলও। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই হোমের বিরুদ্ধে নানা বেআইনি কাজকর্ম চলছিল। নির্যাতনের শিকার হত নাবালিকারা! কিন্তু ভয়ে মুখ খুলত না কেউ।