কলকাতা

বাংলার মানুষ মত জানালো, শীঘ্রই গোটা দেশও তার পছন্দ জানাবে, ধূপগুড়িতে তৃণমূলের জয়ের পর বললেন মুখ্যমন্ত্রী

 লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভয় পেল বিজেপি। ধূপগুড়ির মানুষ নিজের মত জানিয়ে ওই কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিজেপির প্রার্থী তাপসী রায়কে টেক্কা দিলেন তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায়। ধূপগুড়ি কেন্দ্রে তৃণমূলের এই জয়ে খুশি দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল সুপ্রিমো জানালেন, “বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনে ধূপগুড়ির মানুষ আমাদের উপর বিশ্বাস রেখেছেন এবং আমাদের সমর্থনে তাঁদের জনাদেশ দিয়েছেন – সেজন্য আমি তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। উত্তরবঙ্গের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন এবং মা-মাটি-মানুষের সরকার যেভাবে উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ এবং ক্ষমতায়নের সমন্বয় ঘটাচ্ছেন তাতে বিশ্বাস করেন। বাংলা তার মত জানালো এবং শীঘ্রই গোটা দেশও তার পছন্দ জানিয়ে দেবে। জয় বাংলা! জয় INDIA!” একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জি-২০ নৈশভোজে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি জানান,  “প্রথমেই ধূপগুড়ির মানুষকে আমার অভিনন্দন। সব সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য ধন্যবাদ। লোকসভার নিরিখে এই আসন বিজেপির অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি ছিল। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসে এখানে প্রচার চালিয়েছিল লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে। ফলে এরকম একটি আসনে তৃণমূলের এই জয় ‘উত্তরের জয়’। পাশাপাশি গতকালই আমরা পয়লা বৈশাখের দিন বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে দিন ঠিক করেছি। যা বিধানসভায় পাশ হয়েছে। সেই আবহে এই জয় আসলে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’-এর জয়।” একইসঙ্গে দেশের বাকি রাজ্যের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “এছাড়াও সারা ভারতের নির্বাচনে ৭ আসনের মধ্যে ৪ আসনে বিজেপি হেরেছে। এমনকি উত্তরপ্রদেশের মতো জায়গাতেও বিজেপি হেরেছে। জিতেছে যে ৩ টেতে তার মধ্যে দুটো ত্রিপুরা। যেখানে বিজেপি কাউকে লড়তেই দেয় না। ফলে ওখানে জিতে ওদের আনন্দ পাওয়ার কিছু নেই। দেশের প্রেক্ষিতে এই জয় ‘ইন্ডিয়া জোটের’ বড় জয়। এভাবেই ধীরে ধীরে মানুষ সিদ্ধান্ত নিক।”