পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরে স্কুলে ফুটবল খেলার পরে স্কুল লাগোয়া পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রের। বুধবার রাতে পুকুর থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। ছাত্রের মৃতদেহ স্কুলের ভেতরে রেখে, শিক্ষকদের স্কুলে আটকে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠল জনতার বিরুদ্ধে। মৃত ছাত্রের নাম সৌভিক বেরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাইস্কুলের ছাত্র সৌভিক। বুধবার স্কুল ছুটির পর দাসপুর থানার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন হাই স্কুলের তরফ থেকে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেই ফুটবল খেলার শেষে ছাত্ররা স্কুল লাগোয়া পুকুরে স্নান করতে নামে। সেই পুকুরে নেমেই সৌভিকের জলে ডুবে মৃত্যু হয়। মৃত সৌভিকের বাবা সন্দীপ বেরা-সহ এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, সন্ধ্যে নাগাদ ছেলে বাড়ি না ফেরায় তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। স্কুলের সামনে এসে দেখে শিক্ষকরা সকলেই বাড়ি চলে গিয়েছে। স্কুলের গেটের বাইরে রয়েছে সৌভিকের বইয়ের ব্যাগ, স্কুলে লাগানো ছিল তালা। তারপরে খোঁজাখুঁজির পর রাতে স্কুল লাগোয়া পুকুর থেকে সৌভিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।মৃতদেহ উদ্ধার হতেই ঘটনায় দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। খবর পেয়ে স্কুলে পৌঁছায় শিক্ষকেরা। উত্তেজিত জনতা শিক্ষকদের দিকে তেড়ে যায়। চরম বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, শিক্ষকদেরকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। সকলের দাবি শিক্ষকদের চরম গাফিলতির ফলেই তরতাজা প্রাণটি চলে গেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নীশ্বর চৌধুরী-সহ দাসপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। রাতে স্কুলে আটকে থাকা শিক্ষকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।