কলকাতা

‘বারবার কেন এই হেনস্থা?’, দিনভর তল্লাশি শেষে বিজেপিকে তোপ ফিরহাদ হাকিমের

টানা ৯ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশি শেষে রাজ্যের মন্ত্রী, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি ছাড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর দল। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা যান। ৯ ঘণ্টা তল্লাশি শেষে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম। তল্লাশি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করার পরেও, কেন বারবার হেনস্থার শিকার? পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির মামলার ভিত্তিতেই মেয়রের বাড়িতে  সিবিআই হানা বলেই জানা গিয়েছে। আজ দুপুরেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ফিরহাদ কন্যা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি প্রশ্ন করেন, যে সামাজিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁর পরিবারকে তাঁর দায় কে নেবে? সিবিআই তল্লাশির পর ক্ষোভ ফেঁটে পড়েন খোদ ফিরহাদ হাকিম। একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘বাংলার রাজনীতিতে অনেক দিন হল আমার। আমি প্রশ্ন করতে চাই, আমি কি চোর? বারবার এই হেনস্থা কেন? বিজেপির মতাদর্শে মাথানত করব না।  ওঁদের কাছে মাথানত করব না বলে এই হেনস্থা? কখনও আমার ওপর, আমার পরিবারের ওপর। কখনও গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে, কখনও দিনভর বাড়িতে তল্লাশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ, আমাকে যেতে দেওয়া হল না। কী অপরাধ? ছোট থেকে চেতলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেটা আমার অপরাধ? কেন এই হেনস্থা?’ আইন অনুযায়ী পৌর মন্ত্রীর পৌর নিয়োগের সঙ্গে কী সম্পর্ক সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তিনি নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘যাঁরা টাকা নিয়ে চাকরি দেন, তারা সবথেকে কীট। চাকরি দিয়ে টাকা নেওয়ার থেকে নিজের মায়ের মাংস খাওয়া ভাল বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফিরহাদ হাকিম।  বাম যামানার প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। বলেন, বারবার নানা সমস্যা হলেও কখনও পরিবারকে যুক্ত করা হয়নি। মানুষের পাশে দাঁড়ানো কি তাঁর পাপ? এই প্রশ্নও করেন। বাম, বিজেপি নেতাদের নাম তুলে বলেন, সাধারণ মানুষ ছাড়াও, অন্য দলের মন্ত্রীরা তাঁকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন, তাঁদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন। নারদ মামলা প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘রাজীব গান্ধীর মতো মৃত্যুর পর বিচার পাব হয়তো।’ বিজেপির উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘প্রয়োজনে জেলে রাখুন, অপমান করবেন না।’ মিথ্যে অপবাদ দিয়ে সম্মানহানি করছে বলেও বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা সমগ্র বাড়ি তল্লাশি করে, তথ্য জেরক্স নিয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি।