দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত বামনগাছি গ্রামে মসজিদে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। মৃতের নাম সাইফুদ্দিন লস্কর(৪৩)। তিনি এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আজ সকালে বাড়ি থেকে মসজিদ যাওয়ার উদ্দেশে বেরোন তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দুরে তাঁর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর কাঁধে একটি গুলির ক্ষত রয়েছে। তিনি যখন মজজিদের দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে বলে অনুমান। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে জনতা। গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই খুনের পিছনে কী কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিচিত নেতার মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পাশাপাশি এই মৃত্যু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের তরফে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বিরোধীদের দিকে। ছেলের মৃত্যু পিছনে সিপিএমকে দায়ী করেছেন মৃত তৃণমূল নেতার বাবাও। অন্যদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব সামনে এনেছে সিপিএম। যদিও খুনের পিছনে রাজনৈতিক কারণই রয়েছে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এদিকে এই ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল গোটা এলাকা। পাশেই দলুয়াখাকি নামের গ্রামে একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বহু বাড়িতে। পুরুষরা প্রায় সকলেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন বলে খবর। গোটা এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। সাইফুদ্দিনের খুনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সমর্থকরা সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।