পুজো

দেব উত্থানি একাদশীর মাহাত্ম্য!

আজ দেব উত্থানি একাদশী। দেব উত্থানী একাদশী, দেব উঠানী বা প্রবোধিনী একাদশী নামেও পরিচিত। গত ২৯ জুন পালিত হয়েছিল দেব শয়নী একাদশী। সেদিন থেকেই শুরু হয়েছিল চতুর্মাস। হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে দেব শয়নী একাদশী থেকেই চার মাসের জন্য নিদ্রাবিভূত হন নারায়ণ। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় দেবশয়নী একাদশী। বিষ্ণু পুরাণ অনুযায়ী এই দিনে বিষ্ণু চার মাসের জন্য ক্ষীর সাগরে যোগ নিদ্রায় যান। এই চার মাসকে একত্রে চর্তুমাস বলা হয়। চর্তুমাসে কোনও রকম শুভ কাজ করতে নেই। কার্তিক মাসে শুক্লা একাদশী তিথিতে জাগরিত হন বিষ্ণু। এই দিনটি পরিচিত দেব উত্থানী একাদশী। এই বছর দেব উত্থানী একাদশীর তারিখ নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। ২২ নভেম্বর না ২৩ নভেম্বর, কবে একাদশীর পুজো ও উপবাস পালন করা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে অনেকের মনেই। জেনে নিন এই বছর কবে পড়েছে দেব উত্থানী একাদশী।

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুসারে এই বছর দেব উত্তানী একাদশী তিথি পড়ছে ২২ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার রাত ১১টা ০৩ মিনিটে। একাদশী তিথির অবসান হবে ২৩ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ০১ মিনিটে। উদয়া তিথি অনুসারে আগামী ২৩ নভেম্বরই পালিত হবে দেব উত্থানী একাদশী। দেব উত্থানী একাদশীতে নারায়ণের নামে উপবাস রাখা ও তাঁর পুজো করার রীতি প্রচলিত আছে। চতুর্মাসের অবসানে দেব উত্থানী একাদশীর পর থেকে সব শুভ কাজ আবার শুরু হয়।

এই দিনে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন। তারপর স্নান করে কাচা পোশাক পরুন। এরপর ঠাকুর ঘর ও ঠাকুরের আসন পরিস্কার করুন। তারপর ঠাকুরের সামনে বসে উপবাসের সংকল্প নিন। এদিন সারাদিন ধরে যত বেশিবার সম্ভব নারায়ণের নাম জপ করুন। সন্ধেবেলা নারায়ণের নাম নিয়ে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিন। নারায়ণের চরণ স্পর্শ করে তাঁকে ঘুম থেকে তুলুন।