আজ বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর , বিধানসভাতেও তিনি সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে। এর আগেও এই ইস্যুতে বারবার সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল। কলকাতা থেকে দিল্লি, আন্দোলন-প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন দলের নেতা-নেত্রী, কর্মী-সমর্থকরা। বজায় রইল সেই রেশ। ফের বিধানসভায় বকেয়া ইস্যুতে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার অধিবেশনের শুরু থেকেই বিধানসভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারেও বিধানসভায় “চোর” স্লোগান উঠেছে। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সুর চড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। উল্লেখ্য, বিজেপি আগেই জানিয়েছিল অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকলে গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা অধিবেশন বয়কট করবেন। জানা গিয়েছে বকেয়া ইস্যুতে বার্তা দেওয়ার সঙ্গে সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরাতে পারবে না হাসপাতাল বা নার্সিংহোম। অনেকক্ষেত্রেই হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্যসাথী ইস্যুতে। মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে সরকারের কড়া অবস্থান এবং কঠোর পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন সোমবার। জানিয়েছেন, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ভাবে, অভিযোগ বিবেচনার জন্য গড়া হয়েছে বিশেষ কমিশন। একগুচ্ছ হাসপাতাল-নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গেই জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৬৩ টি অভিযোগে নিষ্পত্তি ঘটানো হয়েছে্। রাজ্যের ২ কোটি ৪৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৫৯ পরিবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এসেছে। বাংলায় শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম বলেও এদিন বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাকা বন্ধ প্রসঙ্গেও আজ ফের সুর চড়িয়েছেন তিনি। দুর্গাপুজোর অনুদান প্রসঙ্গে চর্চা হয়েছে বারবার, সোমবার বিধানসভায় দুর্গাপুজোয় রাজ্যের ব্যবসার পরিমাণও উল্লেখ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কার্শিয়াংয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি জলপাইগুড়ির বানারহাটে পাট্টা প্রদানের কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ৭ ডিসেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের ৮’জেলাকে নিয়ে ‘বিজনেস সামিট’-এ মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।