কলকাতা

‘এতটুকুও অনুতপ্ত নই’, বাবুল নিগ্রহ কাণ্ডে মুখ খুললেন দেবাঞ্জন

 কলকাতাঃ যাদবপুর কাণ্ডের পর তিনদিন পেরিয়েছে। এবার বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন বল্লভ। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ওইদিনের ঘটনার জন্য অনুতপ্ত নন তিনি। তাঁর দাবি, আক্রমণ নয়, আত্মরক্ষার জন্যই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গায়ে হাত তুলতে হয়েছিল তাঁকে।গত বৃহস্পতিবার প্রায় টানা ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হেনস্তা করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে। সেই ঘটনার একাধিক ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতেই নাম জড়ায় সংস্কৃত কলেজের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র দেবাঞ্জন বল্লভ চট্টোপাধ্যায়ের। অভিযোগ, বহিরাগত হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে বাবুলের চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করেন দেবাঞ্জন। ওই ছবি সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় ভরে যায়। এই ঘটনার পর থেকেই কার্যত ঘর ছাড়া তিনি। তাঁর বাবা-মাও রীতিমতো নিজেদের ঘরবন্দি করে রেখেছেন। ওই ঘটনার পর তিনদিন পেরিয়েছে। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন দেবাঞ্জন।এদিন স্পষ্টভাবে দেবাঞ্জন জানায়, বৃহ্স্পতিবারের ঘটনার জন্য অনুতপ্ত নন তিনি। কারণ, তিনি আক্রমণ করেননি। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে তাঁর যে হাতাহাতি হয়েছিল তা আত্মরক্ষার স্বার্থে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মন্ত্রীকে আক্রমণ করা হয়নি। পাশাপাশি, ফের তিনি প্রশ্ন তোলেন ছবির সত্যতা নিয়ে। সেইসঙ্গে প্রযুক্তির মাধ্যমে ছবি বিকৃত করে তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন দেবাঞ্জন। তিনি জানান, কোনও দোষ না করেও অকারণে বৃহস্পতিবারের ঘটনার জেরে ঘরছাড়া হতে হয়েছে তাঁকে। ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁর পরিবারকে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার পথে নামছে এবিভিপি। দুপুর ১টা নাগাদ মিছিল করবেন এবিভিপির সদস্যরা। গোলপার্কের সামনে জমায়েত করে সেখান থেকে মিছিল যাবে যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের দিকে। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠনকে অঙ্কুরেই বিনাশ করতে তাদের আটকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নং গেটের কাছে তৈরি থাকবেন মিছিল আটকানোর জন্য।প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধেয় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছিলেন বাবুল। একটি স্ক্রিনশট দিয়ে তিনি লিখেছিলেন দে বাঞ্জন নামে একটি প্রোফাইল থেকে ইংরেজিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে, “আমি এই মেসেজটি লিখছি কারণ আমি খুবই অপরাধবোধ করছি। আমি যে আচরণ করেছি তার জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিন।” কিন্তু সোমবার দেবাঞ্জনের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই সকলে মনে করছে ওই পোস্টটি ভুয়ো।