ফের পাল্টি খেয়েছেন নীতীশ কুমার। মহাগঠবন্ধন সরকার ভেঙে, দেড় বছরের মাথায় আবার এনডিএ-তেই ফিরেছেন নীতীশ কুমার। বিজেপির সমর্থনে গড়েছেন নতুন সরকার। নবমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সরকার ধরে রাখার ক্ষমতা কি আদৌই রয়েছে? আজ তারই পরীক্ষা বিহারের বিধানসভায়। সোমবার আস্থা ভোটের মাধ্যমেই বিহারে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভা। এতে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসনের। একা নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের আসন সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম, মাত্র ৪৫। সেখানেই লালু-তেজস্বীর দল আরজেডির কাছে ৭৯ জন বিধায়ক রয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে মিলিতভাবে তাদের হাতে মোট ১১৪টি আসন রয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতার সংখ্য়া থেকে কম। অন্যদিকে, নীতীশ কুমার যেহেতু এখন বিজেপির জোটসঙ্গী এবং বিজেপির হাতে ৭৮টি আসন রয়েছে, তাই জেডিইউ-বিজেপির মিলিতভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে কোনও সমস্যাই হবে না। জীতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চারও ৪টি আসনের ভোট পাবেন এনডিএ জোট। আজ বিহারের বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হতেই আগে আস্থাভোট হবে। বিধায়ক কেনাবেচা রুখতে আরজেডি বিধায়করা দলের নেতা তেজস্বী যাদবের বাড়িতেই ঘাঁটি গেড়েছেন। এদিকে, বিহারের বিধানসভার স্পিকার আওয়াধ বিহারী চৌধুরির বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব।