বিজেপির আগে ২০২৪ নির্বাচনের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করে দিল হাত শিবির। এবারে কংগ্রেসের মূল থিম ‘ন্যায়’। ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায়পত্র’। ইস্তেহার প্রকাশ করল কংগ্রেস। নজরে ২০২৪ লোকসভা ভোট। তাই তালিকায় কোনও খামতি রাখতে চায়নি হাত শিবির। ইস্তেহার তৈরির ক্ষেত্রে শাসকদলকে টেক্কা দিল হাত শিবির। কর্মসংস্থান, পরিকাঠামোর উন্নয়ন, জাতীয় জাতগণন-সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে ইস্তেহারে।এদিন দিল্লিতে দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধী। নথি তৈরির নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনিও উপস্থিত ছিলেন এদিন। ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ন্যায়পত্র’। মহিলাদের জন্য ন্যায়, তরুণদের জন্য ন্যায়, কৃষকদের জন্য ন্যায়, শ্রমিক জন্য ন্যায় ও সামাজিক ন্যায়। এই পাঁচ ন্যায়ের অধীনে মোট ২৫টি গ্যারান্টির কথা বলছে হাত শিবির। এই ২৫ গ্যারান্টির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মোদি জমানায় চালু করা অস্থায়ী ‘অগ্নিবীর’ নিয়োগ কর্মসূচি বাতিল করে সেনাবাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ কর্মসূচি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি।সম্প্রতি ভারত জোড়ো যাত্রায় অগ্নিবীর নিয়ে বার বার সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধী। বেকারদের ‘ন্যায়’ পাইয়ে দিতে ইস্তেহারে ৩০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। মহিলা সংরক্ষণ আইনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় হাত শিবির। এবার সরকারি চাকরি ক্ষেত্রেও মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে ইস্তেহারে। এর বাইরে কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা, ২৫ বছরের কমবয়সি স্নাতকদের জন্য এক বছরের ইন্টার্নশিপ। ওই ইন্টার্নশিপ চলার সময় এক বছরে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হবে বেকারদের।তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে জাতিগত জনগণনাকে ইস্যু করতে চাইছে হাত শিবির। ইস্তেহারেও সেই প্রতিশ্রুতি থাকছে। কংগ্রেস বলছে, ক্ষমতায় ফিরলে জাতিগত জনগণনার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ ও ১০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণ চালু করা হবে।