জেলা

বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় বাতিল হতে পারে সরকারি কর্মীদের ছুটি

কলকাতা: মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন। রাজ্যের যে সমস্ত এলাকা প্লাবিত সেইসমস্ত এলাকার সমস্যা সমাধানের জন্য মনিটারিং সেল খুলবে নবান্ন, এমনটাই জানান তিনি। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।বন্যা পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতে জেলাশাসকদের সঙ্গে নবান্নে ভিডিও কনফারেন্স করলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ও স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন আরও ৮ দফতরের সচিবও। সেচ, কৃষি, মৎস্য, জলসম্পদ উন্নয়ন, বিপর্যয় মোকাবিলা,ক্ষুদ্র, সেচ, পূর্ত, পঞ্চায়েত দফতরের প্রধান সচিবরা উপস্থিত ছিলেন সেই ভিডিও কনফারেন্সে।কোন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি কী অবস্থায়? বন্যা মোকাবিলায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? ভিডিও কনফারেন্সে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজখবর নেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, যেসব জেলায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই জেলায় সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটি বাতিল করা হবে।পাশাপাশি, বুধবার থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে মনিটরিং সেল। যারা বন্যা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখবে। প্রসঙ্গত, দামোদরের জলে ভাসছে হুগলির বিরাট এলাকা। বিপুল ওই জলে ডুবেছে হাওড়ার একটি বড় অংশ। কোনও কোনও এলাকায় একতলা সমান জল জমে গিয়েছে। মানুষ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে বাঁধে। ডিভিসির ছাড়া জলে মঙ্গলবার থেকে বিপুল পরিমাণ জল এসে ভাসিয়ে দিয়েছে চাপাড়াঙ্গা, পুরশুড়া, শ্যামপুর, শ্রীরামপুরের বিরাট অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরশুড়া ১ নম্বর অঞ্চল, শ্রীরামপুর, শ্যামপুর অঞ্চলের। দামোদরের জল যে হারে বাড়ছে তাতে আরও বড় বিপদের আশঙ্কায় বানভাসীরা। জলে ডুবে রয়েছে একাধিক বাজার, ফলে বন্ধ রয়েছে ব্যবসা। রাস্তাঘাট ভেসে গিয়েছে। বহু জায়গায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ত্রিপল টাঙিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষজন।