নয়াদিল্লিঃ রাজনীতির হালচালের উপর আস্থা সূচক নেমেছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা রিপোর্টে এমনটাই দাবি রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই)। নাগরিকরাই দেশের বাজারে পণ্যের প্রধান ক্রেতা। তাই তাদের আস্থার পরিমাপ করে নিয়মিত দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তা পরিমাপ করা হয় ‘কারেন্ট ইনডেক্স সিচুয়েশন’ (সিসিআই)। দেশের প্রধান শহরগুলির বাসিন্দাদের মতামতের ভিত্তিতে তা নির্ধারণ হয়।সংবাদ সংস্থার খবর, আরবিআইয়ের সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি, কেন্দ্রে দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সিসিআই ছিল ৮৮। তার পর থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই সূচক ছিল ঊর্ধমুখী। ১০০-র উপরেই থেকেছে। কিন্তু এই বছরের সেপ্টেম্বরে সেই সূচক নেমে পৌঁছেছে ৮৯.৪-এ।সূচকের বৃদ্ধি-হ্রাসের ট্রেন্ড দেখাচ্ছে, প্রথম মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য ও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। ২০১৪-র সেপ্টেম্বরে সেই সূচক পৌঁছয় ১০৩.১-এ। ২০১৬-র ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সূচক ১০০-র উপরেই ছিল। কিন্তু ওই বছরেরই নভেম্বরে কেন্দ্র নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা কমতে শুরু করে। সেই পরিস্থিত চলেছিল আড়াই বছর। আবার ৩০ মাস পর এ বছর লোকসভা ভোটের আগে, মার্চে সেই সূচক বেড়ে পৌঁছয় ১০৪.৬-এ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মে মাস থেকেই তা আবার নামতে শুরু করে। গত মে মাসে সূচক ছিল ৯৭.৩। জুলাইয়ে তা আরও কমে হয় ৯৫.৭। যা সেপ্টেম্বরে আরও নেমে পৌঁছেছে ৮৯.৪-এ। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, মুখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কথা বললেও, মন্দার মার কটিয়ে উঠতে সরকারকে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হবে। ফলে ভবিষ্যতে আরও কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করতে পারেন অর্থমন্ত্রী।