প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। সেই এফআইআর খারিজের জন্য অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৷ সেই মামলার রায় দিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ ৷ নির্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানিয়ে দিলেন, আপাতত অভিজিতের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা চলবে না । পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম তদন্তও করা যাবে না।দু’পক্ষকেই তাঁদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের একজন প্রার্থী। সেই জন্য আপাতত 14 জুন পর্যন্ত তাঁকে কোনওভাবে বিরক্ত করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা চলবে না। তবে মামলার তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে পুলিশ। আদালতের পর্যবেক্ষণ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মামলায় সুপ্রিমকোর্ট যে দৃষ্টভঙ্গী গ্রহণ করেছে এখানেও তা প্রযোজ্য। মামলাকারীর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কোনওভাবেই অভিযুক্ত নন। তমলুক হাসপাতাল মোড়ে শিক্ষক সংগঠনের নেতা মইদুল ইসলামের নেতৃত্বে চাকরিহারা শিক্ষকরা একটা অনশন কর্মসূচি করছিলেন। অভিযোগ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় সেখানে মিছিল থেকে হামলা করে বিজেপি। সেইসঙ্গে প্রাক্তন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেবেন বলেও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে গত 4 মে।” তাঁর আরও সংযোজন, “খোকন মাইতি নামে অন্য একজন যার নাম এফআইআর রয়েছে, তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে নিম্ন আদালত থেকে তিনি জামিন পান। কারণ নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, কোনওরকম আঘাত খুঁজে পাননি তমলুক আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট । তদন্তকারী অফিসার আদালতে যে ভিডিয়ো জমা দিয়েছিলেন সেখানে গুরুতর ঘটনার মতো কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু এফআইআরে 307 ধারা যুক্ত করা হয়েছে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। ধরনা কর্মসূচি করার অনুমতিই ছিল না বলে এফআইআর থেকে জানা যাচ্ছে।”