জেলা

হিট স্ট্রোকের বলি আরও এক তৃণমূল কর্মী, ৭ দফায় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ফের সরব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

জঙ্গিপুরের পর ডায়মন্ড হারবার। হিট স্ট্রোকের বলি আরও এক তৃণমূল কর্মী। শেষ দফা ভোটের আগে দলীয় পতাকা লাগানোর সময় মৃত্যু হয় ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কর্মী নাসিরউদ্দিন মোল্লার। দলের এক সক্রিয় কর্মীর মৃত্যু সংবাদের প্রেক্ষিতে সাত দফায় নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ফের সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেটিয়াবুরুজের জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘এখানে আসার আগে শুনলাম ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডে হিট স্ট্রোকে তৃণমূল কর্মী নাসিরউদ্দিন মোল্লার মৃত্যু হয়েছে। আমরা চেয়েছিলাম মার্চ এপ্রিলে ভোট হোক। কিন্তু গরিব মানুষকে শাস্তি দেবে বলে তীব্র গরমের মধ্যে সাত দফায় নির্বাচন করেছে। আমাদের একজন সক্রিয় কর্মীকে এই কারণে আজ হারালাম। আজকের সভায় দাঁড়িয়ে বলছি, নাসিরের পরিবারের সব দায়িত্ব আমার কাঁধে তুলে নিলাম।’ প্রায় একমাস আগে জঙ্গিপুরে দলীয় প্রচারের মাঝে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল নেতার। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন ঘিরে শুরু থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মমতা, অভিষেক। আজকের সভায় অভিষেক বলেন, ‘চোট কা জবাব ভোট সে দেনা!’ প্রয়াত ঊর্দু কবি রাহত ইন্দোরির শায়েরি আওড়ে অভিষেক বলেন, ‘কিরায়েদার হ্যায়, জাতি মকান থোড়ি হ্যায়…সবকা খুন হ্যায় শামিল ইয়াহাঁ কি মিট্টি মেঁ, কিসি কে বাপ কা হিন্দুস্তান থোড়ি হ্যায়।’ এখানেই থামেননি তিনি। ১৫ মিনিটের বক্তব্যে আরও একটি শায়েরি শোনান। গোপাল দাস নীরজের একটি কবিতার একাংশ তুলে অভিষেক বলেন, ‘হ্যয় অন্ধেরা বহত, সুরজ নিকলনা চাহিয়ে, অব কুছ ভি হো, মৌসম বদলনা চাহিয়ে’, মৌসম বদল গয়া হ্যায়। দেখুন, মে মাসে কেমন ছায়া নেমেছে। আবহাওয়া পাল্টে গিয়েছে। এবার বিজেপি বিদায় নেবে।’