দেশ

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে চিন

চেন্নাই : মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে সম্মত হল ভারত এবং চিন। শুক্রবার‍ই দু’দিনের ভারত সফরে চেন্নাই পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এদিন রাতে সেখানেই নৈশভোজে মিলিত হন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হয়। তারপরেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এখবর জানানো হয়।এর আগে নির্ধারিত সূচি মেনেই শুক্রবার দুপুরে চেন্নাই বিমানবন্দরে এসে নামেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শুক্রবার দুপুর দু’টো নাগাদ চেন্নাই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছয় জিনপিংয়ের বিশেষ বিমান। বিমানবন্দরেই তাঁকে উষ্ণ সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।  শনিবার সকালে জিনপিং তাজ ফিশারম্যানের কোভ রিসর্টে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে একটি বেসরকারি বৈঠক করবেন।শুক্রবার সন্ধ্যেয় চেন্নাইয়ের বিখ্যাত মহাবলীপুরমের মন্দিরে যান এই দুই রাষ্ট্রনেতা। মহাবলীপুরম থেকে তাঁরা অর্জুনের তপস্যাস্থল, পঞ্চ রথ এবং শোর মন্দির দেখতে যান। শোর মন্দিরে আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও দেখেন তাঁরা।  জিনপিংকে স্বাগত জানাতে মোদি এদিন দক্ষিণ ভারতীয়দের মতো করে ধুতি, পাঞ্জাবী পরেছিলেন। দক্ষিণ ভারতীয় রীতি মনে তাঁর গায়ে ছিল উত্তরী। ২০১৮-র এপ্রিলে চিন গিয়েছিলেন মোদি। সে সময়েই চিনা প্রেসিডেন্টকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ

জানিয়েছিলেন মোদি। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই জিনপিং ভারতে আসছেন। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর জিনপিংয়ের এই সফর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। কারণ চলতি সপ্তাহেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইমরান কাশ্মীর নিয়ে জিনপিংকে তাঁর অভিযোগ জানিয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে জিনপিং এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদিকে কাশ্মীর নিয়ে কিছু বলেন কি না সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। জিনপিংয়ের সফর ঘিরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলা হয়েছে চেন্নাই শহর। পাশাপাশি বিমানবন্দর থেকে চেন্নাই শহর পর্যন্ত রাস্তার দু’ধার সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সাজানো হয়েছে উপকূল এলাকাও।শনিবার সকালে মোদি ও জিনপিংয়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বেসরকারি বৈঠকটি হবে। তবে ওই বৈঠকে কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হবে না বা বৈঠক শেষে কোনও যৌথ বিবৃতি জারি করা হবে না বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মূলত দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার ও সুসংহত করতেই এই বেসরকারি বৈঠকে বসছেন মোদি ও জিনপিং। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা নিয়েও কথা হবে। মোদি-জিনপিং বৈঠক শেষ হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের আলোচনা হবে। চিনা প্রেসিডেন্ট শনিবার চেন্নাই থেকে নেপাল উড়ে যাবেন।