দেশ

দলের সম্মতি নেই, লোকসভার প্রোটেম স্পিকারের দায়িত্বে ‘না’ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

 সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করা প্রোটেম স্পিকারদের তালিকায় নাম ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তবে সেই দায়িত্ব পালন করবেন না তিনি ৷ সে কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা । তাঁর কথায়, “দল চায় না ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যে কোনও প্রভাব পড়ুক । আমি বরাবরই দলের অনুগত সৈনিক ৷ তাই দলের নির্দেশ মেনেই এই দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না ।” একই সঙ্গে নিট ও নেটের দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় । দিল্লিতে তিনি জানিয়েছেন, এটা বিরাট দুর্নীতি । এর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস চুপ করে বসে থাকবে না । সোমবার অর্থাৎ ২৪ জুন থেকে লোকসভায় বিশেষ অধিবেশন শুরু ৷ তার আগে এই প্রোটেম স্পিকারের প্রশ্নে কিছুটা হলেও বেকায়দায় কেন্দ্রের শাসক দল । শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস নয়, প্রোটেম স্পিকারের প্রশ্নে একজোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকরা । ইতিমধ্যেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফ থেকেও এই পদ গ্রহণ না করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । একই পথে হেঁটেছে ইন্ডিয়া শিবিরের অন্যতম বড় শরিক ডিএমকেও । ফলে অধিবেশন শুরুর আগেই একজোট বিরোধীরা । রবিবার দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যেপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু । আসন্ন অধিবেশন যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে এবং সরকার বিরোধিতায় যেন সংসদ অচল হয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে তিনি এই তৃণমূল সাংসদের কাছে আহ্বান জানান । এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা বলেছেন যে, এটাও সরকারপক্ষকেই নিশ্চিত করতে হবে বিরোধীপক্ষ যেন তাদের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ পায় । এদিন সুদীপ এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, নিট এবং নেট নিয়ে তাঁরা কোনওভাবেই ছেড়ে কথা বলবেন না । এই প্রবীণ তৃণমূল নেতার কথায়, “নিট দুর্নীতির পরিধি বিরাট। এর আগে ব্যাপম কেলেঙ্কারি হয়েছে । এই বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের সঙ্গে মিলেমিশেই এগোবে তৃণমূল।” তিনি এও বলেন , “নিট ও নেট কেলেঙ্কারি নিয়ে লোকসভার অধিবেশনে আলোচনার দাবি জানাব । প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে জবাব চাইবে তৃণমূল । বিষয়টি আমরা সহজে ছেড়ে দেব না।”