সম্প্রতি মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন, পাচারকারীদের জন্যে বিফ পাস ইস্যু করে দেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। আর সেই অভিযোগ সামনে আসতেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফ কর্তারা নাকি সংবাদাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ধরনের পার্মিট নিয়মিত দিয়ে থাকেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। দ্য হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিএসএফ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের গরুর মাংস খাওয়া এবং নিয়ে যাওয়ার জন্যে জনপ্রতিনিধিরা যে পাস ইস্যু করে, তা পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি কোনও কাজ নয়। মহুয়ার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী সীমান্তে ৩ কেজি করে গোমাংস চালানের জন্যে চোরাকারবারিদের ছাড়পত্র দিয়েছেন। বিএসএফের ৮৫ ব্যাটালিয়নের উদ্দেশে এই পাস ইস্যু করা হয়েছে বলে দাবি করেন মহুয়া। সোশ্যাল মিডিা বার্তায় মহুয়া লিখেছেন, ‘হ্যালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, গোরক্ষক সেনারা, গোদি মিডিয়া।’ মহুয়ার সেই পোস্টে দেখা গিয়েছে, শান্তনু ঠাকুরের নাম থাকা লেটারহেড প্যাডে জিয়ারুল গাজি নামে এক ব্যক্তিকে ৩ কেজি গোমাংস সীমান্তের ওপারে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। আর তা দেওয়া হয়েছে বিএসএফের ৮৫ নম্বর ব্যাটিলিয়নকে। তবে বিএসএফ এবার জানিয়ে দিল, এই ধরনের পাস নিয়মিত ইস্যু করে থাকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বিএসএফ আধিকারিকরা এও জানান, হাকিমপুরে তৃণমূলের ৮ কাউন্সিলর রোজ এই ধরনের ৮০টি করে পাস ইস্যু করেন। ২০১৩ সালে কলকাতা হাই কোর্টে এই নিয়ে মামলাও হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-এর এই কড়াকড়ি এবং পাস সিস্টেমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় হাই কোর্টের রায় বিএসএফ-এর পক্ষেই গিয়েছিল। এদিকে শান্তনুর বিরুদ্ধে গোমাংস পাচারের অভিযোগ উঠতেই তিনি দাবি করেছিলেন, সীমান্ত এলাকায় কোনও জিনিস নিয়ে যেতে হলে পাস লাগে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সেই পাস দেন। বিএসএফ সেই পাস ছাড়া কোনও কিছু নিয়ে যেতে দেয় না। তবে হাকিমপুরে আমাদের কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। আর সেখানকার তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা তাদের দলের সমর্থকদেরই পাস দিয়ে থাকেন।