জেলা

মা লক্ষ্মীর পট বেঁচে আয় অধরা পট শিল্পীদের

 রায়গঞ্জ: রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষীপুজো। প্রতিবছর নাওয়া খাওয়া ভুলে দিনরাত পরিশ্রম করে মা” লক্ষীর পট তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন পট শিল্পীরা। পট বিক্রিও হচ্ছে। কিন্তু উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না শিল্পীরা। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর পট তৈরি করে উপযুক্ত পারিশ্রমিক না মেলায় হতাশ রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ, কাঞ্চনপল্লীর পট শিল্পীরা।লক্ষীপুজোর বাজারে রায়গঞ্জের রাজপথের দুধারে ও স্থানীয় দশকর্মা ভান্ডারগুলোতে পট শিল্পীদের তৈরি লক্ষীর পট আলোকিত করে রয়েছে শনিবার সকাল থেকেই। প্রতিবছর এগুলি বেশ ভালো দামেই বিক্রি হয়। অথচ শিল্পীরাই তাদের নুন্যতম পারিশ্রমিক পাননা বলে আক্ষেপ তাঁদের।রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জ পালপাড়া ও কাঞ্চনপল্লীর কয়েকজন মৃৎশিল্পী পরিবারের সদস্যরা বংশ পরম্পরায় মাটির তৈরি সরার উপর লক্ষী প্রতিমা আঁকার কাজ করেন।স্থানীয় শিল্পী শেফালী পাল বলেন, হাড়ভাঙা খাটুনির পরেও উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাইনা। মাটির সরা, খড়িমাটি, রঙ তুলি সহ অন্যান্য কাঁচামাল কিনতে হয়। তারপর মাটির তৈরি সরার উপর খড়িমাটির রঙ চড়িয়ে লক্ষীর পট আঁকার পর আমাদের কাছ থেকে পাইকাররা নিয়ে যান বিক্রির উদ্দেশ্যে। এতে আমাদের তেমন লাভ থাকেনা। তবুও মনের আকর্ষনে ও ভালোবাসার টানে আমরা বছরের পর বছর ধরে এই কাজ করে আসছি।পট শিল্পীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এক একটি পট তৈরি করতে ১৫ থেকে ২০ টাকা খরচ হয়। পাইকারি ব্যবসাদাররা সেই দাম দিয়েই তাদের কাছ থেকে সেগুলি পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যান। বাজারে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির সময় তার দাম হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। অথচ পট শিল্পীরা তাদের পারিশ্রমিক পাই না।