পুলিশি অত্যাচার, তোলাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছিল মুরগি বিক্রেতা ও পরিবহণ কর্মীদের ধর্মঘট। জানানো হয়েছিল চলবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য। তবে ট্রেডার্সদের দফায় দফায় বৈঠক শেষে জানানো হল প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে মেদিনীপুরের ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। সেই আশ্বাস পাওয়ার পরেই ব্যবসায়ী ও পরিবহণ কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেন জনস্বার্থে ধর্মঘটের পথ থেকে তাঁরা সরে আসছেন। পূর্ব ঘোষণা মতোই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় ধর্মঘট। যদিও আজ, শুক্রবার সকাল থেকে টুকটাক প্রান্তিক বিক্রেতাদের কাছে থাকা অল্প বিস্তর মাল বিক্রি হয়েছে বাজারে। তবে গতকাল থেকে যে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল তা চলতে থাকলে রেস্তোরাঁ ব্যবসা থেকে স্ট্রিট ফুডের দোকান ব্যবসায় প্রভাব পড়ত। তবে শেষমেশ সেই পথ থেকে সরে এল ট্রেডার্স ও পরিবহণ কর্মীরা। নর্থ অ্যান্ড সাউথ কলকাতা পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অমর ঘোষ বলেন, “আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাব কি না, সেনিয়ে বৈঠক করি। সকল সদস্য একমত হন। তবে প্রশানের আশ্বাস মিলেছে আর মেদিনীপুরের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবে না। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ধর্মঘট থেকে সরে দাঁড়ানো। সপ্তাহ খানেক আগে মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায় মুরগি নিয়ে আসা গাড়ির চালকের থেকে তোলাবাজি টাকা চায়। সেটা দিতে না-পাড়ার কারণে চালককে বেধড়ক মারধর করেন পুলিশ কর্মীরা বলেই অভিযোগ। আর সেই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশি জুলুম বন্ধ করা, তোলাবাজি বন্ধ করার দাবিতে ধর্মঘট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুরগি বিক্রেতা ও পরিবহণ কর্মীরা। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ফেডারেশন শুরু থেকেই ধর্মঘটের বিরোধীতা করে আসছিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের তরফে মদন মোহন মাইতি জানিয়েছিলেন, ক্ষোভ-বিক্ষোভ ঠিক আছে তবে সাধারণ মানুষ অসংখ্য ব্যবসায়ীকে সমস্যায় ফেলে ধর্মঘটের পথে যাওয়া ঠিক নয়।”