আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার এখন তদন্ত করছে সিবিআই। এই অভিযোগে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এরপর নাগরিক সমাজের পথে নামা এবং আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করার ঘটনা সকলেই দেখেছেন। এই আবহে এবার মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। সেটা নিয়ে রাজ্য সরকারের উৎকন্ঠা ছিল। কারণ আবার যদি ভাঙচুর হয়। মানুষের জীবনে ক্ষতি হয় তা নিয়ে। কিন্তু তার পরও এই প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে কোনও আপত্তি করল না কলকাতা হাইকোর্ট। বরং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন জানিয়ে দিলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হতেই পারে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় রায়কে আজ, শুক্রবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোলো? এই প্রশ্ন তুলছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাই আজ তাঁরা সিবিআই দফতরে যান বিষয়টি জানতে। এবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি বাতিলের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল। এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সুতরাং নবান্ন অভিযান করতে আপাতত আর কোনও বাধা রইল না। আদালত সূত্রে খবর, এই ধরনের সমাবেশ নিয়ে যে নির্দেশিকা রয়েছে সেটা নিয়ে একটি হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। চার সপ্তাহ পরে এই মামলার আবার শুনানি হবে। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আজও ডাক্তারদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন। সেখানে আগেই ছাত্র সমাজের মিছিলে অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে ছিলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না। প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। সেখানে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি আটকাতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আজ, শুক্রবার নতুন করে হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা করা হয়। মামলা করেন আইনজীবী দেবরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। শহর এবং গ্রামবাংলা থেকে বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। আর তাঁরা এই পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে পথে মারা যাচ্ছেন। এটা ঠিক নয় বলেই মনে করেন অনেকে। তার মধ্যেই এই নবান্ন অভিযান কর্মসূচি আরও সমস্যা করতে পারে।