কলকাতা

ফের একবার জেল হেফাজতে এসএমএইচ মির্জা

কলকাতা: ফের জেল হেফাজতে এসএমএইচ মির্জা। আগামী ৩০ অক্টোবর অবধি জেল হেফাজত হল তাঁর। গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। নারদাকাণ্ডে এই প্রথম গ্রেফতার করা হল কাউকে। এই কেসে সিবিআই-এর প্রথম গ্রেফতার মির্জা।এদিন আদালতে অভিযুক্তকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে চায় সিবিআই। এরপরই আদালত জানায়, ৩০ শে সেপ্টেম্বর অবধি মির্জা সিবিআই হেফাজতে থাকবেন।অন্যদিকে বিচারকের কাছে তাদের মক্কেলের জামিনের আবেদন জানান মির্জার আইনজীবীরা। কারণ হিসাবে মির্জার আইনজীবীরা জানান এমনিতেই তাদের মক্কেল তদন্তের স্বার্থে সব রকম সহযোগিতা করছেন।পাশাপাশি তাদের মক্কেল কর্মস্থল থেকে সাসপেনশনে রয়েছেন। তাই তার পক্ষে প্রভাব খাটানো সম্ভব নয়। তাই তাকে জামিন দেওয়া হোক। অন্যদিকে, সিবিআইয়ের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে পাল্টা বলেন কাজের সঙ্গে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাটে না। তাই এই যুক্তি গ্রাহ্য নয়। দুই পক্ষের সাওয়াল জবাব শোনার পর সিবিআইয়ের পক্ষেই রায় দিয়েছেন বিচারক। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিচারাধীন আইপিএস মির্জাকে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।তবে এদিনও শুনানি শেষে তাঁকে আরও ১৫ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। আদালত জানায়, আগামী ৩০ অক্টোবর অবধি সিবিআই হেফাজতেই থাকবেন তিনি।উল্লেখ্য, স্টিং অপারেশনের সূত্র ধরেই তাঁর উপর নজরদারি চলেছিল বলে জানায় সিবিআই। বিগত কয়েকদিন ধরেই নারদাকাণ্ডে চলছিল ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করার কাজ। মির্জার কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পরই তাঁকে এদিন গ্রেফতার করা হয়।সিবিআই সূত্রে খবর, এর আগে তাঁকে ৯ বার ডাকা হয়েছিল। ৯ বারই তিনি সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তদন্তে সহযোগিতা করেন নি এসএমএইচ মির্জা। তাই এবার তাঁকে রিম্যান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সিবিআই আরও জানায়, নারদাকাণ্ডের টাকা নেওয়ার সময় এই আইপিএস অফিসার অন্য কারো সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। তাঁকে একাধিকবার সে কথা জিজ্ঞেস করা হলেও তিনি সেই প্রশ্নের উত্তর দেন নি। আর তাই সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি টাকা নেওয়ার সময় কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথেই কথা বলছিলেন, যাকে তিনি এখনও আড়াল করার চেষ্টা করছেন।তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, তাঁকে রিম্যান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি সম্পর্কে তাঁরা কিছু আভাস পেতে পারেন।