তিন দিনের মার্কিন সফরে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ একাধিক কর্মসূচিতে ভরপুর তাঁর এই সফর ৷ তবে বিশ্বের নজর কোয়াডের বৈঠকের দিকে ৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থ বার্ষিক কোয়াডের বৈঠক নিয়ে আশাবাদী খোদ প্রধানমন্ত্রীও ৷ তাই সফর শুরুর আগেই বলেন, “ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে কোয়াডের ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে এই বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা রয়েছে ৷” উল্লেখ্য, ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে চতুর্থ ‘কোয়াড’ বৈঠকের আয়োজন করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৷ ভারত ও আমেরিকা ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিনিধিরা ৷ কোয়াডের পার্শ্ববৈঠকে বাইডেনের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় যোগ দেবেন মোদি ৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দু’দেশের কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আমার বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে দু’দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে নতুন পথ নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে এই বৈঠকে ৷”মূলত ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে 2007 সালে কোয়াডের সূচনা করেন জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো অ্যাবে ৷ কূটনৈতিক বিশ্লেষক মহলের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে কোয়েডের গুরুত্ব নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে ৷ তবে দক্ষিণ চিন সাগর, ভারত এবং তাইওয়ান সীমান্তে বেজিংয়ের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন নীতির কারণে কোয়াডের গুরুত্ব আরও বেড়েছে ৷ এই আবহে চতুর্থ কোয়াড বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ উল্লেখ্য়, 2025 সালে এই বৈঠকের আয়োজন করবে ভারত ৷