দিল্লির শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া এ বার বেঙ্গালুরুতে। শনিবার বেঙ্গালুরুর ভিয়ালিকাভাল এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ভিতরে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয় ২৯ বছর বয়সি এক যুবতীর টুকরো টুকরো করা দেহাংশ৷ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার যুবতীর দেহের ৫৯ টুকরো। ভ্যালিকাভাল থানার ভিরান্না ভাবনা এলাকার যে ঘরে তিনি ভাড়া থাকতেন, সেখানেই থাকা ১৬৫ লিটার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহাংশ। শনিবার এই ঘটনার কথা জানিয়েছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। নিহত ওই যুবতীর নাম মহালক্ষ্মী দাস৷ বেঙ্গালুরুর পরিবার আদতে নেপালের বাসিন্দা হলেও প্রায় ৩৫ বছর আগে তারা কর্ণাটকে চলে এসে থাকতে শুরু করে৷ মহালক্ষ্মীর জন্মও বেঙ্গালুরুতেই৷ বিবাহিত হলেও স্বামীর সঙ্গে অশান্তির জেরে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন মহালক্ষ্মী৷ একটি মলে কাজ করতেন তিনি৷ ওই ঘরে একাই থাকতেন। মহালক্ষ্মীর ঘর থেকে গত কয়েক দিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। তখন তাঁর আত্মীয়দের ফোন করা হয়। তাঁরা এসেই দেখেন মর্মান্তিক পরিস্থিতি। এর পর পুলিশ আসতে বোঝা যায় ঘটনার নৃশংসতা। পুলিশ জানিয়েছে, একা থাকা ওই মহিলাকে মেরে তাঁর দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো করা হয়েছে। সেই টুকরো ভরা ছিল ফ্রিজে। ফ্রিজ চললেও, টুকরো করা দেহাংশে পোকাধরা পচন শুরু হয়ে গিয়েছিল। এ মাসের শুরুর দিকে ওই যুবতীকে খুন করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ফ্রিজ থেকে মহালক্ষ্মীর দেহের টুকরো বাক্সে ভরে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনায় নিহতের লিভ ইন পার্টনারকেই সন্দেহ করছে পুলিশ৷ ঘটনা নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এন সতীশ কুমার বলেছেন, ‘দেখে মনে হয়েছে একজনই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে। দেহ ৫৯ টুকরো করে কেটে ঘরের সিঙ্গল ডোর ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল।’ খুনের রহস্য উন্মোচনের জন্য বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই অফিসার। বেঙ্গালুরুর ওই ঘরে গত ৫-৬ মাস ধরে থাকছিলেন মহালক্ষী। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তিনি খুব বেশি মিশতেন না বলেও জানা গিয়েছে। তিনি সকালে বাড়ি থেকে বেরোতেন, রাতে ফিরতেন। তিনি বিবাহিত। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে থাকতেন না। একাই থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। এই ঘটনার পর তাঁর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ। কে বা কারা, কেন খুন করলেন ওই যুবতীকে তা জানার চেষ্টা চলছে। এ রকমই হাড় হিম করা খুনের ঘটনা নয়াদিল্লির ছাত্তারপুরে ঘটেছিল ২০২২ সালে। লিভ ইন সম্পর্কে থাকা প্রেমিকের হাতে ৩৫ টুকরো হয়েছিল প্রেমিকার দেহ।