মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দিল্লি যাওয়ার পথে বার বার বাধা পুলিশের। কখন জল কামান আবার কাঁদানে গ্যাসের শেল আবার কোনও সময় রবার বুলেট তাঁদের দিকে ধেয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যাহার করা হল কৃষকদের জাঠা । পঞ্জাবের কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানিয়েছেন আজ দুই ফোরামের সিদ্ধান্তে জাঠা প্রত্যাহার করা হল। বৈঠকের পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত জানা গেছে, পুলিশি বাধার মুখে প্রায় ১৭ জন কৃষক আহত হয়েছে। তাঁদের চোখে মুখে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া ঢুকে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাঁরা। শনিবার কৃষকরা পদযাত্রা শুরু হওয়ার পরেই পঞ্জাব সীমান্তে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। তাঁদের দিকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসে হরিয়ানা পুলিশের বাহিনী। কাঁদানে গ্যাস থেকে রবার বুলেট নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার অভিযোগ। পঞ্জাবের কৃষক নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের জানিয়েছেন, পুলিশি বাধায় এখনও পর্যন্ত ১৭ থেকে ১৮ জন কৃষক আহত হয়েছেন। কৃষক নেতা মনজিৎ সিং রাইয়ের অভিযোগ, নিরাপত্তা কর্মীরা রবার বুলেট ছুঁড়েছে। একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে উভয় ফোরামই আজকের জন্য জাঠাকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি বৈঠকের পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পান্ধেরের অভিযোগ, কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক মিশ্রিত জল ব্যবহার করা হয়েছিল, এবার আরও বেশি টিয়ার গ্যাসের শেল ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকে আম্বালা ক্যান্টের ডেপুটি পুলিশ সুপার রজত গুলিয়া অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পান্ধের বলেন, সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর নিয়ে সংসদে বিতর্ক চলছে। কিন্তু, আর সেখানে কেউ কৃষকদের জন্য একটা আওয়াজও তুলছে না।