সোমবার লোকসভায় পেশ হচ্ছে না ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল। লোকসভার সোমবারের আলোচ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল পেশের কর্মসূচিকে। শনিবারের প্রকাশিত তালিকায় অবশ্য ছিল এটি। রবিবার সকালে লোকসভার সচিবালয়ের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বাদ দেওয়া হয়েছে এই বিল পেশের কর্মসূচিকে। সংসদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিলের খসড়া পৌঁছে গিয়েছে সমস্ত সাংসদের কাছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। ফলে আর মাত্র চার দিন সময় ছিল সংসদে এই বিল পেশ করার জন্য। তার মধ্যে সোমবারের আলোচ্যসূচি থেকে এটি বাদ পড়ায়, হাতে রইল তিন দিন। এর মধ্যে কবে এই বিল পেশ হবে কিংবা আদৌ তা হবে কি না, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা মেলেনি। এর আগে ঠিক ছিল, সোমবার লোকসভায় ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল। ইতিমধ্যে গোটা দেশে একসঙ্গে ভোটের প্রক্রিয়ায় সিলমোহর দিয়ে ফেলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তবে ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এতে শাসকদল লাভবান হবে। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিলের বিরোধিতায় এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘বিশেষজ্ঞ ও বিরোধী নেতাদের তোলা প্রতিটি দাবি, যুক্তি ও উদ্বেগকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অসাংবিধানিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় বিরোধী এক দেশ এক নির্বাচন বিল এনে নিজেদের রাস্তা প্রশস্ত করতে উদ্যোগী। এটা বিচার বিবেচনা করে আইনের সংস্কার নয়। এটা ভারতের গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দুর্বল করে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া।’ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, লোকসভায় বিল পেশের পর আলোচনার জন্য উঠলে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা এর বিরোধিতা করবেন। দিল্লির স্বৈরাচারী ইচ্ছের কাছে বাংলা মাথা নত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা। দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এর বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি লেখেন, ‘দেশের প্রয়োজন এক দেশ এক শিক্ষা, এক ভোট নয়।’