‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সায় মিলেছে আগেই ৷ লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল ৷ মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে এই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল ৷ বিলের বিরোধিতা করেন বিরোধীরা ৷ এই বিল নিয়ে লোকসভায় ভোটাভুটির দাবি করলেন বিরোধী সাংসদরা ৷ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন গত ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে এই বিলে সায় দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৷ সূত্রের দাবি, তারপরই বিলটিকে লোকসভায় পেশ করা নিয়ে পদক্ষেপ শুরু করে কেন্দ্র সরকার ৷ সেকারণে মঙ্গলবার বিজেপি-সহ শাসকজোট এনডিএ-র সাংসদদের মঙ্গলবার সংসদের নিম্নকক্ষে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ সূত্রের খবর, এদিন লোকসভায় উপস্থিত থাকার জন্য সকল কংগ্রেস সাংসদদের উইপ জারি করা হয়েছে ৷ এদিকে, বিলের বিপক্ষে লোকসভার সেক্রেটরিকে নোটিশ দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি ৷ তাঁর দাবি, এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী ৷ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ৷ তাঁর কথায়, “এই বিল দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সরাসরি আঘাত করবে ৷ এই ধরণের পদক্ষেপে রাজ্যের স্বায়ত্তশ্বাসন, স্থানীয় গণতান্ত্রিক অধিকার ও ক্ষমতা কেন্দ্রীয়করণের ঝুঁকি রয়েছে ৷” অবশ্য, বিজেপির দাবি দেশ তথা দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ কংগ্রেসকে আক্রমণ করে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, “স্বাধীনতার পর ভারতে দুই দশক ধরে এক দেশ এক নির্বাচন ছিল ৷ কংগ্রেস 356 ধারার অপব্যবহার করার পর কয়েকটি রাজ্যে আলাদাভাবে নির্বাচন করা হয় ৷”