কলকাতা

কালীঘাট স্টেশনে বাংলায় কথায় বলায় হেনস্থার অভিযোগ বাঙালি যুবকের

সোমবার সন্ধ্যে পৌনে সাতটা নাগাদ কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে এক বাঙালী যুবকের বিরুদ্ধে অনুমতি না নিয়ে মোবাইলে ছবি তোলার অভিযোগ তোলেন দুই যুবতী। আরপিএফের দুই কর্মী সঙ্গে সঙ্গে যুবকের মোবাইল দেখতে চান। সে সময় আরপিএফের কনস্টেবল রাজেশ কুমার মীনা হিন্দিতে বাঙালী যুবক সিজার মিশ্রর কাছে তার মোবাইল দেখাতে বলেন। প্রত্যুতরে সিজার জানান, তিনি হিন্দি বোঝেন না, যা বলার বাংলায় বলুন। এরপরেই আরপিএফ কনস্টেবল মীনা, সিজারকে ধাক্কা দিতে দিতে স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এমনকি সিজারকে একাধিক গালাগাল এবং শারীরিক নিগ্রহও করা হয় বলে অভিযোগ জানিয়েছেন সিজার। এমনকি আরপিএফের তরফ থেকে সিজারকে বিভিন্ন কেস দিয়ে ১৬ বছরের জন্য জেলে ভরে দেওয়ার শাসানিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপরেই সিজার ‘‌‌বাংলা পক্ষ’‌র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সংগঠনের সদস্যরা স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে পৌঁছলে, তাঁদের সামনেই সিজারের ফোন পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তার ফোনে আপত্তিজনক কোনো ছবি বা ভিডিওই পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারী মহিলা এরপর লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে, অভিযোগ প্রত্যাহার করে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু এরমধ্যেই সংগঠনের বাকি সদস্যরাও কালীঘাট মেট্রো স্টেশনে পৌছলে দফায় দফায় শুরু হয় স্লোগান-প্রতিবাদ। আরপিএফের ‘‌বাঙালী বিদ্বেষী মনোভাবের’‌ অভিযোগ তুলে স্লোগান দিতে শুরু করেন বাংলা পক্ষ’‌র সদস্যরা। এরমধ্যেই খবর আসে,আরপিএফ কনস্টেবল রাজেশ কুমার মীনাকে অন্য মেট্রো স্টেশনে সরিয়ে দিয়েছে আরপিএফ কতৃপক্ষ। রাত্রি এগারোটা অবধি কালীঘাট মেট্রোর স্টেশন মাষ্টারের ঘরের সামনে চলতে থাকে তুমুল বিক্ষোভ। অবশেষে রাত্রি এগারোটা পনেরোয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামেন স্থানীয় কালীঘাট থানার ওসি।