নয়াদিল্লিঃ পবিত্র তীর্থস্থান কর্তারপুর করিডরের জন্য ইসলামাবাদ মাথাপিছু ২০ মার্কিন ডলার সার্ভিস চার্জ বসানোয় বেজায় চটেছে দিল্লি। ভারত সরকারের বক্তব্য, এই চার্জ গরিব তীর্থযাত্রীদের প্রতি অন্যায়। তারপরেও পাকিস্তান কোনও নমনীয়তা দেখাতে রাজি হচ্ছে না।২০ ডলারের এই সার্ভিস চার্জ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধটা ঠিক কিসের? শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানকের শেষ জীবন কেটেছিল তৎকালীন পঞ্জাবের কর্তারপুরে, যা দেশভাগের পর এখন পড়েছে পাকিস্তানের নারোয়াল জেলাতে।কর্তারপুরের দরবার সাহেব গুরদ্বারাতে যাতে ভারত থেকে শিখ তীর্থযাত্রীরা সহজে যেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে দুই দেশ মিলে সীমান্ত পেরিয়ে একটি যাত্রাপথ স্থাপন করছে। ভারতের গুরুদাসপুরে ডেরা বাবা নানক থেকে পাকিস্তানের কর্তারপুরে দরবার সাহেব পর্যন্ত বিস্তৃত এই পথের নামকরণ করা হয়েছে কর্তারপুর করিডর।গত বছর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পরই ইমরান খান এই করিডর খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তখনই তিনি জানান, ভারত-সহ সারা দুনিয়া থেকে আসা শিখদের জন্য এই তীর্থস্থান উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং সেখানে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এখন বিতর্ক শুরু হয়েছে পাকিস্তান প্রত্যেক তীর্থযাত্রীপিছু ২০ ডলার চার্জ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকরা এক অন্যের দেশে গেলে সাধারণত কোনও ভিসা ফি নেওয়া হয় না। এখানে পাকিস্তান ভারতীয় নাগরিকদের এই ফি’ থেকে রেহাই দিতে রাজি হচ্ছে না।এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে এই সার্ভিস চার্জকে প্রকারান্তরে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং সে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ও বাড়বে। এই ঘটনায় বিজেপি সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কাউর পালটা অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান এর মাধ্যমে গরিব মানুষের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যবসা ফাঁদতে চাইছে। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না।