শ্রীনগর: পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাতের একদিন পরেই ফের গুলির লড়াই সীমান্তে। নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি)-এর নৌশেরা সেক্টরে জঙ্গিদের গুলিতে শহিদ হলেন এক সেনা অফিসার। নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ করে গুলি চালালো জঙ্গিরা। এবার পড়ুয়াদের সামনেই চলল জঙ্গি হামলা। অন্যদিকে, ত্রাল সেক্টরে গুলির লড়াইতে মৃত্যু হয়েছে তিন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির।সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাত ৯টা নাগাদ’ও চলছিল গুলির লড়াই। তাতে উত্তপ্ত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের কাজৌরি ও পুঞ্চ জেলার একাংশ। জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) পদের ওই শহিদ জওয়ানের পরিচয় জানা যায়নি। সেনা সূত্রে খবর, নৌশেরার কালাল এলাকায় নিযুক্ত ছিলেন ওই অফিসার। রাতের এই গুলিবিনিময়ের আগেও এদিন দু’বার জঙ্গিরা হামলা চালায়। সকাল এগারোটা নাগাদ মেন্ধর এলাকায় ছোট অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানের জঙ্গিরা। এরপর ফের একবার এদিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ গুলি ও মর্টারের শেল ছোঁড়ে জঙ্গিদল। সেই মর্টারে জখম হন ফুলন জান নামে এক বৃদ্ধা। অন্যদিকে, উপত্যকার ত্রালেও জঙ্গিরা হামলা চালায়। তিন জইশ জঙ্গিকে সেনারা খতম করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এই গুলিযুদ্ধ কি তবে প্রতিশোধস্পৃহা থেকে? কারণ সদ্য জঙ্গিদের ঘাঁটিতে ভারতীয় জওয়ানদের প্রত্যাঘাতের ক্ষত এখনও দগদগে। যদিও সেই হামলা স্বীকার করতে নারাজ পাকিস্তানি সেনা। তবে এদিনের গুলিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের বক্তব্যের বাস্তবতা। সেনাপ্রধান আগেই জানিয়েছিলেন সীমান্তে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ফের জেগে উঠেছে এমনটাই তাঁরা জানতে পেরেছেন। ফের এদিনের গুলিবিনিময় সীমানায় জঙ্গি সক্রিয়তারই প্রমাণ দিচ্ছে।