কলকাতা

স্যালাইন কাণ্ড: ১২ জন চিকিৎসক, চিকিৎসক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করল নবান্ন, কড়া পদক্ষেপ নিলেন মুখ্য়মন্ত্রী

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন ও প্রসূতি মত্যু কাণ্ডে বিরাট পদক্ষেপ নিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মেদিনীপুরে মেডিক্যাল কলেজের আরএমও সহ ১২জনকে সাসপেন্ড করা হল। সাসপেন্ড হওয়া ১২জনের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ। নবান্ন থেকে জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।তিনি বলেন গাফিলতি থাকলে ফৌজদারি অপরাধ। আরএমও, এমএসভিপিকেও সাসপেন্ড করা হল বলে খবর।  যাঁদেরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সেই ১২জনের মধ্য়ে ৬জন সিনিয়র ডাক্তার ও ৬জন পিজিটি রয়েছেন। মমতা বলেন, ১২জনকে সাসপেন্ড করা হল। এরপর তিনি সিনিয়র ডাক্তার ও জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা পড়ে শোনান।মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুতে কার্যত যাবতীয় দায় কার্যত চিকিৎসকদের একাংশের উপর চাপিয়ে দিল রাজ্য সরকার। প্রসূতি মৃত্যু কাণ্ডে মুখ খুললেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা বলেন, ‘যাদের কাছে ভাগ্য নির্ধারন হয়, যারা যারা ওখানে ছিলেন তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে এই মাকে বাঁচানো যেত। এত মেডিক্যাল কলেজ। অনেকে বলে এখানে নাকি তুলো ছাড়া কিছু মেলে না…’ এরপর তিনি স্বাস্থ্য়ক্ষেত্রে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার পরিসংখ্য়ান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এখানে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর যে উন্নয়ন হয়েছে কোথাও হয়নি। চ্যালেঞ্জ ইট…’। মমতা বলেন, ‘৪২টি নতুন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। ১৪ হাজার ৭৪১টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হবে। এখন বেডের সংখ্য়া ৯৭ হাজার। আগে বাচ্চাদের চিকিৎসার কোনও বন্দোবস্ত ছিল না। এখন হয়েছে। তারও বিবরণ দেন মমতা। ‘১৪ হাজার ডাক্তার নতুন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ওবিসি নিয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি।’‘২৫৪৫ ছিল আসন সংখ্য়া। এখন হয়েছে ২৮৪৬৭টি আসন। প্যারামেডিক্যালের কর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে।’ মমতা বলেন, ‘চিকিৎসা শাস্ত্রের যারা জয়েন করেছেন তাদের সেবাটা মূল কাজ। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা। চিকিৎসা ১ মিনিটও ওয়েট করে না কারোর জন্য। সিজার করেন সিনিয়র ডাক্তারা। এত স্টাফ, এত নতুন নতুন ভবন, এত টাকা বাড়ানো, মেডিক্যাল কলেজ বাড়ানো, …রোগী যাতে পরিষেবা পায় সেটা দেখতে হবে।’  ‘আমাকে যদি সিজার করতে বলে আমি পারব না, কারণ আমি এটা নিয়ে পড়িনি। সিএসকে যদি বলেন সিজার করতে তিনি পারবেন না। চিকিৎসা কারা করবে। ডাক্তারদের কাছে যাবে মানুষ। রেফারেল সিস্টেম কমানো হয়েছে। আমি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করব। এটা অন্য়ায় হয়েছে। ’ মমতা বলেন, ‘দুজন ঠিক আছে আর একজন ঠিক আছেন। তাদের পরিবার একটু গাল দিলে আমাদের শুনতে হবে। লক্ষ লক্ষ লোক, কোটি কোটি লোকের ট্রিটমেন্ট হয় আউটডোরে। অনেক বেসরকারি হাসপাতাল আছে। সেখানে স্বাস্থ্য় সাথী কার্ড অ্যালাও হয়েছে। কখনও কখনও ছুটির দিন থাকবে..মহরম পুজো ইদ আসবে। কখনও গঙ্গাসাগরের মেলা আসবে। কেউ যদি মনে করেন তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন না। গত ৭২ ঘণ্টা টাইম দিয়েছি তদন্ত করার। অনেক জায়গায় অপারেশন থিয়েটারের গেটের বাইরে সিসি ক্যামেরা বসাতে দেন না। কেন হয় না। ভেতরেও তো সিসি ক্যামেরা থাকা দরকার। অনেক সময় প্রাইভেট পেসেন্টরা এটা চান না। সমস্ত অপারেশন থিয়েটারের গেট পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দাও। যদি কেউ আপত্তি করে প্লিজ ছুটি নিন। অনেক সময় দেখেছি একটা অ্য়াক্সিডেন্ট কেস গেল জুনিয়ররা দেখেই বলে দেন মারা গেছেন নিয়ে চলে যান। কিন্তু চেষ্টা তো করে দেখতে হবে। ’