অষ্টম পে-কমিশনের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়েছেন। ২০১৬ সালে সপ্তম পে কমিশন তৈরি হয়েছিল। পরে তা কার্যকর হয় । ২০২৬ সালে সেই কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। কমিশনের চেয়ারম্যান এবং দুই সদস্যকে দ্রুত বেছে নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে । কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অষ্টম পে-কমিশনের সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুমোদন করেছেন। চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সদস্য বাছাইয়ের কাজ হয়ে গেলে কমিশন কাজ শুরু করে দেবে। সপ্তম পে কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার অনেক আগেই এই কমিশন নিজেদের সুপারিশ জানাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী। তারপর তা লাগু হবে । সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারির সংখ্যা ৪৯ লাখ । পেনশন পান ৬৫ লাখ । আশা করা হচ্ছে, নতুন পে কমিশন লাগু হলে এঁরা সকলেই উপকৃত হবেন। স্বাধীানতার অব্যবহিত পরে ১৯৪৭ সালেই পে-কমিশন তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কর্মীদের বেতন থেকে শুরু করে অন্য সুযোগ-সুবিধে কেমন হবে তা ঠিক করে এই কমিশন। বিভিন্ন পরিস্থিতি বিচার করে এবং সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর নিজেদের সুপারিশ জানায় কমিশন। বিভিন্ন পদে কর্মরত কর্মীদের সর্বনিম্ন বেতন কত হওয়া উচিত সেটাও জানায় কমিশন। ঠিক করে দেয় বেতনের সর্বোচ্চ মাত্রাও। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারিদের জন্য হলেও বেশিরভাগ রাজ্য সরকার এই কমিশনের সুপারিশ মেনেই কাজ করে । মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার বছর মানে ২০১৪ সালে সপ্তম পে-কমিশন গঠিত হয় । ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এটি কার্যকর হয় । ২০২৬ সালে সেটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা । তার আগে অষ্টম পে-কমিশন গঠনের ঘোষণা হল। সরকারি কর্মীদের জন্য পে-কমিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেতন বৃদ্ধির নির্ভর করে এই কমিশনের সুপারিশের উপর ।